পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের উপায়

পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের উপায় প্রত্যেকেরই জেনে রাখা জরুরী। শক্ত পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়ার বিষয়টি অনেকের সাথেই ঘটে থাকে। সেজন্য পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের উপায় সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা থাকা উচিত। এই আর্টিকেলে আমরা পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের উপায় কি কি সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করব। অতএব এখনই পোস্টটি পড়ে ফেলুন। 
পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের উপায়
বিভিন্ন কারণে পায়খানার সাথে রক্ত যেতে পারে। আর এ সমস্যাটি প্রায় সব বয়সী মানুষের ক্ষেত্রেই কম বেশি লক্ষণীয়। তাই পায়খানার সাথে রক্ত পড়া দেখলে অধিক বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। পায়খানার সাথে রক্ত পড়ার সঠিক কারণ ও এটি বন্ধ করার উপায় জানা থাকলে, খুব সহজে পায়খানার সাথে রক্ত পড়া সমস্যাটা থেকে পরিত্রাণ পাবেন। সেজন্য আপনাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকেল জুড়ে আমরা পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের উপায়, এর কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করব। তাই দেরি না করে পুরো পোস্টটি একবার পড়ে ফেলুন। 

পোস্ট সূচিপত্র - পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের উপায় বিস্তারিত জানুন 

পায়খানার সাথে রক্ত পড়ে কেন?

পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের উপায় সম্পর্কে অবগত হওয়ার পূর্বে আমাদের পায়খানার সাথে রক্ত পড়ে কেন এ বিষয়টি জেনে রাখতে হবে। পরবর্তীতে আমরা পায়খানার সাথে রক্ত গেলে করণীয় কি সে বিষয়ক বিভিন্ন কার্যকরী ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তবে চলুন কি কারণে মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়ে এবার সে বিষয়টি জেনে ফেলি। 

  • খাদ্যনালী, পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদ্রান্ত্র ইত্যাদি অভ্যন্তরীণ অঙ্গাণু গুলোর যেকোনো অস্বাভাবিকতার কারণে পায়খানার সাথে রক্ত যেতে পারে। 
  • হঠাৎ মলের সাথে রক্ত যাওয়ার ঘটনাটি পাইলসের কারণে ঘটে থাকে। এসময় কোনো জ্বালাপোড়া ও ব্যথা হয়না।
  • দীর্ঘদিন অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের ফলে মলদ্বারে ক্যান্সার সৃষ্টি হওয়ার কারণে পায়খানার সাথে গাঢ় রক্ত পড়তে পারে। 
  • বৃহদান্ত্রের  সংক্রমণ ও কৃমির কারণে মাঝে মাঝে পায়খানার সাথে রক্ত যেতে দেখা যায়। 
  • পায়খানার সাথে রক্ত পড়ার মূল সমস্যাটি হয় রেক্টাল ব্লিডিং এর কারণে। পায়ু পথে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হওয়ার মাধ্যমে যদি লাল অথবা মেরুন বর্ণের রক্ত পড়ে তবে সেটি রেকটাল ব্লিডিং এর কারণে ঘটে থাকে। 
উপরের অংশটি পড়ে আপনারা পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়ার কারণ সমূহ উপলব্ধি করতে পেরেছেন। পোষ্টের পরবর্তী অংশগুলো পড়লেই পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের উপায় বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন। 

পায়খানার সাথে রক্ত কিসের লক্ষণ 

পায়খানার সাথে রক্ত পড়ার বিষয়টি কোন নির্দিষ্ট রোগ নয় বরং অন্য কোন রোগের লক্ষণ হিসেবে কাজ করে। পায়ুপথে রক্ত গেলে অনেকেই বিচলিত এবং হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। তাই পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়ার বিষয়টিকে অবহেলা না করে এর লক্ষণ গুলো দেখে সঠিক রোগ খুঁজে বের করতে হবে। অনেক সময় এ বিষয়টি অবহেলা করলে মলদ্বারের ক্যান্সারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  1. এনাল ফিসার: পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়ার পাশাপাশি মলদ্বারে তীব্র জ্বালাপোড়া ও ব্যথা অনুভূত হলে সেটি এনাল ফিসারের লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। এ সময় মলদ্বার ফেটে গিয়ে পায়খানার সাথে তাজা রক্ত পড়তে পারে।
  2. রেক্টাম ক্যান্সার: প্রথমদিকে পাইলসের মত মনে হলেও এটি আসলে রেক্টাম ক্যান্সারের লক্ষণ। শরীরের রেকটাম ক্যান্সার আক্রান্ত হলে পায়খানার সাথে রক্ত পড়তে দেখা যায়। এ অবস্থায় পায়ুপথ অত্যন্ত জ্বালাপোড়া করে এবং মলত্যাগ করার পর পুনরায় মলত্যাগের ইচ্ছা জাগে।
  3. রেক্টাম পলিপ: এই সমস্যাটির কারণে প্রায়শই পায়খানার সাথে তাজা রক্ত যেতে পারে। সেই সাথে মলদ্বারে গোটার মতো অংশ বিশেষ সৃষ্টি হতে পারে।
  4. রেক্টাল ফিস্টুলা: পায়ুপথের গ্রন্থিগুলোতে যদি ফোঁড়া সৃষ্টি হয় তবে একটা পর্যায়ে গিয়ে এই ফৌঁড়া গুলো ফেটে গেলে ফিস্টুলা হয়। এমতাবস্থায় মলদ্বার ফুলে গিয়ে তীব্র জ্বালাপোড়া ও ব্যথা হয় এবং তার সাথে পুঁজ ও রক্ত পড়ে। 
  5. বেসিলারি ডিসেন্ট্রি: এ রোগটি আমাদের দেশে রক্ত আমাশয় নামে পরিচিত। আমাশয় ও পেটের যন্ত্রণার কারণে পায়খানার সাথে কালো রক্ত পড়তে দেখা যায়।
  6. আলসারটিভ কোলাইটিস: অতিরিক্ত মসলা ও ঝাল জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে পেটে আলসার সৃষ্টি হলে আলসারটিভ কোলাইটিসের লক্ষণ প্রকাশ পায়। ফলে পায়খানার সাথে রক্ত যায়। 
তাছাড়াও ইন্টাস সাসপেনশন, পেটের পীড়া, ডাইভার্টিকুলার ডিজিজ, আঘাত জনিত কারণ, ডায়রিয়া সহ-অন্ত্রের বিভিন্ন কারণে পায়খানার সাথে রক্ত যেতে পারে। সুতরাং পোস্টের এই অংশ থেকে আপনারা পুরুষের পায়খানার সাথে রক্ত পড়া কিসের লক্ষণ তার মূল কারণগুলো জানতে পেরেছেন। এবার পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের উপায় জেনে নিন। 

পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায়

পোস্টের আগের অংশে আমরা আলোচনা করেছি পুরুষের পায়খানার সাথে রক্ত পড়া কিসের লক্ষণ সে বিষয়ে। এখন পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের উপায় তথা পায়খানার সাথে রক্ত গেলে করণীয় কাজ গুলো কি হবে সে বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা করব। নিচের অংশটি পড়ে পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের উপায় জেনে নিন। 
  • হঠাৎ মলের সাথে রক্ত যাওয়া দেখলেই আমরা ভয় পেয়ে যাই। রেকটাল ব্লিডিং হলে সে ক্ষেত্রে রক্তপাত বন্ধ করা কঠিন। তবে পরিপাকতন্ত্রের এ রোগটি দমনের জন্য নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন করলে অনেকটাই প্রতিরোধ গড়ে তোলা সক্ষম। 
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। দেহে পানির চাহিদা পূরণ হলে পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়ার পরিমাণ কমে যাবে। 
  • নিয়মমাফিক খাদ্য গ্রহণ করুন। অনিয়ম করে খাবার খাওয়া যাবেনা বরং খাবার খাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় ফিক্সড করুন। 
  • সম্পূর্ণরূপে মদ্যপান ও ধূমপান পরিহার করুন। 
  • কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ইশপগুলের ভুষি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। 
  • পায়খানার সময় অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করবেন না। অল্প সময়ে পায়খানা ক্লেয়ার করুন। 
  • পায়খানার রং এবং রক্ত যাওয়ার প্রকৃতি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে বিষয়টি ডাক্তারকে অবহিত করুন। 
  • প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল খাদ্য তালিকায় সংযুক্ত করুন। 
  • মানসিক দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকুন এবং প্রত্যেকদিন পরিমিত ঘুম নিশ্চিত করুন। 
উপরিউক্ত প্রত্যেকটি নিয়ম ফলো করলে আপনি পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়ার সমস্যাটি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। তাই পায়খানার সাথে রক্ত ​​আসার ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি যথাযথভাবে অনুসরণ করলে কাঙ্খিত উপকার পাওয়া সম্ভব। 

শিশুর পায়খানার সাথে রক্ত গেলে করণীয়

আপনারা অলরেডি পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক নয়, শিশুদেরও পায়খানার সাথে রক্ত পড়ার সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। শিশুর পায়খানার সাথে রক্ত গেলে করণীয় কি হবে এবার তা এক নজরে জেনে নিন। 

  • যেসব খাবার যেমন: টমেটো, স্ট্রবেরি শিশুদের দেহের মধ্য থেকে রক্ত সৃষ্টি করে আনতে পারে সে সমস্ত খাবার ভালোভাবে পরীক্ষা করে শিশুকে খেতে দিন। 
  • বিভিন্ন কারভে শিশুর নাক, গলা, ও মুখগহ্বরে রক্ত জমে থাকতে পারে। সেই জমাট বাধার রক্ত খাবারের সাথে মিশে মল দাঁত দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে। তাই শিশুর নাক, কান, গলা ভালোভাবে পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করুন। 
  • শিশুদের শক্ত পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়ার সমস্যাটি অতি সাধারণ। অর্থাৎ পায়খানা কষা হলে রক্ত পড়ে। এজন্য শিশুদের সবসময় নরম ও সহজে চিবানো যায় এমন খাবার খেতে দিতে হবে। 
  • অল্প বয়সী শিশুদের খাবার সহ্য না হলে রক্ত আমাশয় হতে পারে। তাই রক্ত আমাশয়ের বিরুদ্ধে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিন। 
  • শিশুর মলদ্বারের প্রাচীরে পলিপ সৃষ্টি হয় যার সাথে রক্ত লেগে থাকে। ফলে পায়খানার সাথে রক্ত যেতে দেখা যায়। শিশুর দেহের অভ্যন্তরে এ ধরনের পলিপ সারানোর জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। আর পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের উপায় পুনরায় জেনে নিতে হলে শুরু থেকে পোস্টটি আবারও পড়ুন।

পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের ঔষধ কি

পায়খানার সাথে রক্ত গেলে করণীয় কি সে সম্পর্কে আপনারা ইতোমধ্যে বিস্তৃত ধারণা অর্জন করেছেন। এবার চলুন পায়খানার সাথে রক্ত বন্ধ করার জন্য কোন ধরনের ঔষধ খাওয়া যেতে পারে তা জেনে ফেলি। যেকোনো বিষয়ে ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। মলের সাথে রক্ত গেলে সাধারণত অধিকাংশ ডাক্তারেরা এন্টিবায়োটিক, অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও পেটের অ্যাসিড দূর করার ঔষধ সাজেস্ট করে থাকে। এই ওষুধ গুলোই মূলত পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। পায়খানার সাথে রক্ত ​পড়া বন্ধের উপায় এখনো না জেনে থাকলে পোস্টের আগের অংশ পড়ে নিন। 

পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়ার হোমিও চিকিৎসা

হোমিও চিকিৎসা পদ্ধতিতে পায়খানার সাথে রক্ত পড়ার ঘটনাটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অর্শ বা পাইলসের জন্য হয়ে থাকে বলে মনে করা হয়। বিশেষজ্ঞ হোমিও ডাক্তারেরা পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের জন্য ভালো মানের জার্মান ওষুধ সাজেস্ট করে থাকেন। অনেক সময় লিভার সিরোসিস ও ডায়রিয়ার কারণেও পায়খানার সাথে রক্ত পড়ে। সেজন্য স্বাস্থ্য সম্মত খাবার গ্রহণ, শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের বিকল্প নাই। আর ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক হোমিও ঔষধ গুলো সেবন করলে পায়খানার সাথে রক্ত পড়ার সমস্যায় দীর্ঘমেয়াদি সমাধান পাওয়া যায়। 

উপসংহার 

বন্ধুরা আজকের পোস্টটি যদি ভালভাবে মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তবে নিশ্চিতভাবেই আপনারা পায়খানার সাথে রক্ত ​পড়া বন্ধের উপায় জেনে নেওয়ার পাশাপাশি পায়খানার সাথে রক্ত আসার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা অর্জন করেছেন। পোস্টে উল্লেখিত প্রত্যেকটি দিক-নির্দেশনা আমরা সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের মতামত এবং কার্যকারিতার ভিত্তিতে তুলে ধরেছি।
অতএব, উল্লেখিত প্রত্যেকটি নিয়ম যথাযথ অনুসরণ করলে আপনারা পায়খানার সাথে রক্ত পড়া সমস্যাটি কার্যকর ভাবে প্রতিরোধ করতে পারবেন। চাইলে এই পোস্টটি শেয়ার করে অন্য বন্ধুদেরও পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের উপায় জানিয়ে দিতে পারেন। এছাড়া নিত্যনতুন বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয় দরকারী টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 

FAQs (সাধারণ প্রশ্নোত্তর)

প্রশ্ন: পায়খানার সাথে রক্ত ​​গেলে কত দিন খারাপ হয়?
উত্তর: পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়ার ঘটনাটি যদি ২/৩ দিন স্থায়ী হয় তবে বিষয়টি নিয়ে অবহেলার কোন সুযোগ নেই। এমতাবস্থায় দ্রুত তার সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। অনেক মানুষের ক্ষেত্রেই রেজটাল রক্তপাত হয় মলদ্বারের ক্যান্সারের কারণে। তাই পায়খানার সাথে রক্ত পড়া দীর্ঘস্থায়ী হলেই সেটি পরীক্ষা করা জরুরী। 

প্রশ্ন: পায়খানার সাথে রক্ত গেলে কোন ডাক্তার দেখাতে হবে?
উত্তর: পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়ার বিষয়টি দু একদিন স্থায়ী হলে উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট অথবা প্রক্টোলজিস্ট ডাক্তারের দ্বারস্থ হতে হবে। 

প্রশ্ন: পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়ার কারণ কি?
উত্তর: রেক্টাল ডিজিস, পাইলস, মলদ্বারের ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, আমাশয় সহ বিভিন্ন কারণে পায়খানার সাথে রক্ত যেতে পারে। পায়খানার সাথে যাওয়া রক্তের বর্ণ পরীক্ষা করে এর সঠিক কারণ অনুসন্ধান করুন। 

প্রশ্ন: মলের তাজা রক্ত ​​কি মারাত্মক?
উত্তর: মলের সাথে তাজা রক্ত যদি দীর্ঘদিন ধরে পড়তে থাকে তবে দেরি না করে দ্রুততার সহিত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। ডাক্তার পরীক্ষা করলেই মলের সাথে তাজা রক্ত পড়ার প্রকৃত কারণ বের করতে পারবে।

প্রশ্ন: মলের সাথে রক্ত ​​গেলে কোন ঔষধ ভালো?
উত্তর: মলের সাথে রক্ত গেলে ডাক্তার সাধারণত এন্টি ইনফ্লামেটরি ও এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান পাওয়ার জন্য হোমিওপ্যাথিক ঔষধ গুলো অধিক কার্যকরী। 

প্রশ্ন: পায়খানার সাথে রক্ত বের হয় কেন? 
উত্তর: পাকস্থলী ও অন্ত্রের উপরিভাগ থেকে রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে পায়খানার সাথে কালো বর্ণের রক্ত বের হতে পারে। কিন্তু লাল বর্ণের রক্ত বের হলে সেটি পাইলস, আমাশয়, রেকটাল পলিপ, রেকটাল ক্যান্সার এর কারণে হয়ে থাকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
এই পোস্টে কমেন্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

অনির্বাণ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url