তলপেট ফুলে যাওয়ার কারণ

তলপেট ফুলে যাওয়ার কারণ আপনারা সুস্পষ্টভাবে জানেন কি? যদি না জেনে থাকেন তবে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। এই পোস্টে আমরা তলপেট ফুলে যাওয়ার কারণ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই তলপেট ফোলা প্রতিরোধের জন্য সচেতনতার অংশ হিসেবে তলপেট ফুলে যাওয়ার কারণগুলো এই পোস্টটি থেকে জেনে নিতে পারেন। 
তলপেট ফুলে যাওয়ার কারণ
বিভিন্ন কারণে তলপেট ফুলে থাকতে পারে, হোক সেটি কোন রোগ অথবা অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে। তলপেট ফুলে গেলে ব্যথা সহ বিভিন্ন স্বস্তিকর অনুভূতির জন্ম হয়। পেটে মেদ জমে ফুলে যাওয়া আর পেট এমনিতে ফুলে যাওয়া এই দুটি সমস্যার মাঝে বিস্তর ফারাক রয়েছে। আজকের এই পোস্টটি থেকে আপনারা পূর্ণাঙ্গভাবে তলপেট ফুলে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন। একই সাথে পোস্টের শেষ অংশ হতে তল পেট ফুলে গেলে করণীয় কি কি সে ব্যবস্থা সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। 

পোস্ট সূচিপত্র - তলপেট ফুলে যাওয়ার কারণ সমূহ জেনে নিন 

অল্প খেলেই পেট ফুলে যায় কেন? 

আপনার পেটে যদি অতিরিক্ত মেদ থাকে তবে বেশিরভাগ সময় তলপেট ফুলে আছে বলে মনে হবে। তাছাড়াও পেটে পানি, বায়ু, মল জমলে তলপেট ফুলে যেতে পারে। অনেকেরই সামান্য খাবার খাওয়ার পরে পেট ফুলে যেতে দেখা যায়। পুষ্টিবিদদের মতে অনেক সময় খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের ফলে অল্প খেলে পেট ফেঁপে ফুলে যেতে পারে। এটি অনেক সময় গ্যাস বা বদহজমের কারণেও হয়ে থাকে। এই পোস্টের পরবর্তী অংশ থেকে তলপেট ফুলে যাওয়ার কারণসমূহ জানতে পারবেন।

তলপেট ফুলে যাওয়ার কারণ | কি কি কারণে পেট ফুলে যায় 

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা নিশ্চয়ই তলপেট ফুলে যাওয়ার কারণ গুলো জেনে নেওয়ার উদ্দেশ্যে এই পোস্টে প্রবেশ করেছেন। তলপেট ফুলে যাওয়ার কারণগুলো জানা থাকলে আপনারা খুব সহজেই তলপেট ফুলে যাওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সক্ষম হবেন। তবে চলুন কি কি কারণে তলপেট ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা হতে দেখা দেয় তা আমরা এক নজরে জেনে ফেলি। 
  • কোষ্ঠকাঠিন্য: পানি কম খাওয়ার কারণে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে থাকে, তবে তলপেট ফুলে যেতে পারে। আবার অনেকের পেটে পানি জমা হয়েও তলপেট ফুলে যেতে পারে। 
  • গ্যাস সৃষ্টি হওয়া: আপনার পেটে যদি অতিরিক্ত গ্যাস সৃষ্টি হয় তবে সে ক্ষেত্রে পেট ফুলে যেতে পারে। পেটে থাকা গ্যাসগুলো বের না হওয়া পর্যন্ত পেট ফুলে থাকে। আমরা সাধারণত বায়ুত্যাগ ও ঢেকুর এর মাধ্যমে পেটে থাকা গ্যাস বের করে দেই। 
  • বদহজম: বেশিরভাগ মানুষেরই বদহজমের সাথে তলপেট ফুলে যাওয়ার ব্যাপারটি জড়িত। এই পেট ফাঁপা অতিরিক্ত খাওয়া, মদ্যপান, অ্যালকোহল গ্রহণ ইত্যাদির কারণে হয়ে থাকে। বদহজমের কারণে যদি পেটের ফোলা ভাব ঘন হয় তবে যত দ্রুত সম্ভব বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। 
  • পেটে সংক্রমণ: পেটে যদি ডায়রিয়া, কৃমি ইত্যাদির সংক্রমণ ঘটে তবে তলপেট ফুলে থাকতে পারে। যাদের পেটে ঘা ও আলাসার জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও হঠাৎ পেট ফুলে যেতে দেখা যায়। 
  • নির্দিষ্ট খাদ্যের প্রতি অসহিষ্ণুতা: কোন ব্যক্তি যদি দুগ্ধ জাতীয় খাবারের প্রতি অসহিষ্ণু থাকেন, তবে সেই ব্যক্তি দুধ খেলে তলপেট ফুলে যেতে পারে। যদিও সময়ের সাথে সাথে তার পেট ফোলা ভাবটি কমে যায়। দুধ অনেক সময় এসিডিটি সৃষ্টি করে বিধায় এমন পেট ফোলা সমস্যার সৃষ্টি হয়। 
  • দীর্ঘস্থায়ী রোগ: ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রোম এবং ক্রোনস ডিজিজের মতো রোগ গুলো দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কারণে তলপেট ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়। এসকল রোগের কারণে অনিচ্ছাকৃত ওজন হ্রাস ও বমি বমি ভাব সৃষ্টি হয়ে থাকে। 
  • স্ত্রী রোগ হলে: মহিলাদের এন্ড্রোমেট্রিওসিস হলে গর্ভাশয়ের সাথে গর্ভাশয় পেটের আস্তরণের সাথে সংযুক্ত থাকে। এর ফলে গর্ভাশয়ে ব্যথার সৃষ্টি হয়ে তলপেট ফুলে যায়। আশা করি তলপেট ফুলে যাওয়ার কারণগুলো আপনাদের সামনে খোলাসা হয়েছে। 

মেয়েদের তলপেট ফুলে যাওয়ার কারণ

অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েদের তলপেট ফুলে যেতে দেখা যায়। মেয়েদের তলপেট ফোলার কারণ নির্দিষ্ট রয়েছে। এবার আপনাদের সামনে তাই মেয়েদের তলপেট ফুলে যাওয়ার কারণগুলো বিস্তারিত তুলে ধরব।

  • পিরিয়ডের সময় বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তনের কারণে। 
  • অনিয়মিত ও অস্বাভাবিক জীবন যাপন। 
  • দীর্ঘক্ষণ এক স্থানে বসে থাকার দরুন ব্লটিং এর কারনে।
  • পচা, বাসী, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ও কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে। 
  • খাওয়ার পরপরই অধিক পরিমাণ পানি পান করার জন্য। 
  • অতিরিক্ত বায়ু ত্যাগ এবং কথা বলার সময় বাতাস দিলে ফেললে।
  • পরিপাকতন্ত্রের রোগ সিলিয়াক ডিজিজের কারণে। 
  • সন্ধ্যার দিকে খাবারের অস্বাভাবিক চলাচল বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের কারণে তলপেট ফেঁপে গিয়ে ফুলে থাকে। 

তলপেট ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ করার উপায় | পেট ফাঁপার ঘরোয়া চিকিৎসা

আপনারা তো তলপেট ফুলে যাওয়ার কারণ ইতোমধ্যে জানতে পেরেছেন। কিন্তু তলপেট ফুলে গেলে তাৎক্ষণিক কি ধরনের ঘরোয়া প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এ অবস্থা থেকে মুক্তি পাবেন সে সম্পর্কে এখন আলোচনা করব। মনে রাখবেন সচেতনতাই পারে তলপেট ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে। 
  • অত্যাধিক বেশি পরিমাণে খাবার গ্রহণ করবেন না। নির্দিষ্ট সময় পর পর সুষম খাবার গ্রহণ করুন। অল্প অল্প করে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে করে হজমের সমস্যা দূর হবে। 
  • খালি পেটে কখনো ভাজা পোড়া ও কোল্ড ড্রিংকস খাবেন না। কেননা খালি পেটে সকল খাবার গ্রহণ করলে এসিডিটি সৃষ্টি হয়ে পেট ফুলে যাবে।
  • আপনার কোন খাদ্যে এলার্জি রয়েছে সেই খাবারগুলোকে আলাদা রাখুন। ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন খাবার গ্রহণ করলে সেটি পেটকে ফাঁপিয়ে তোলে। 
  • বেশি বেশি রাফেজ জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর হয়। অবশ্যই যে সকল খাবারে পানি বেশি সেসব খাবার গ্রহণ করে পেট ফোলা প্রতিরোধ করুন। 
  • প্রবায়োটিক আপনার খাদ্য তালিকার অপরিহার্য একটি অংশ। এটি পেট থেকে সকল ভাল ও খারাপ ব্যাকটেরিয়াকে আলাদা করতে পারে। দই প্রোবায়োটিকের উৎস। নিয়মিত দই খেলে পেট ফোলা জনিত যে কোন সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। 
  • দিনে অন্তত ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করুন। পানি সবসময় আপনার পেট ক্লেয়ার রাখতে সাহায্য করবে।
  • পেট ফোলা প্রতিরোধের জন্য সব সময় নিজেকে চিন্তা মুক্ত রাখুন। অতিরিক্ত হাইপার টেনশনের কারণেও তলপেট ফোলার সমস্যা দেখা দেয়। 
  • বেশি বেশি ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। ফলমূল ও শাকসবজিতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ লবণ আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 
  • বাহিরের প্রক্রিয়াজাত সব ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকুন। ধূমপান পুরোপুরি পরিত্যাগ করুন। 
  • খাদ্য খাওয়ার সময় সরাসরি গিলবেন না, খাবার ভালোভাবে চাবিয়ে টুকরো টুকরো করে তারপর গলাধঃকরণ করুন। এতে আমাদের দেহের বিপাকীয় প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। ফলে দেহের হজম শক্তি বৃদ্ধি পেয়ে পেট ফোলা জনিত সমস্যার অবসান ঘটে। 
  • অসময়ে তলপেট ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা দ্রুত সমাধান করার জন্য এন্টাসিড প্লাস ওষুধটি সেবন করতে পারেন। এক্ষেত্রে এন্টাসিড সিরাপ খেলেও তা কাজে দেবে। 

তল পেট ফুলে গেলে করণীয় 

তলপেট ফুলে গেলে সেটি কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় সে সম্পর্কে আপনারা ইতোমধ্যে অবহিত হয়েছেন। সেই সাথে তলপেট ফুলে যাওয়ার কারণ কি কি তাও জেনে নিয়েছেন। এবার পেট ফুলে গেলে করণীয় কি সে বিষয়ে কিছু দরকারী তথ্য এক নজরে জেনে নিন।

  • পেট ফুলে গেলে অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। অল্প অল্প করে খাবার চেষ্টা করুন। 
  • যে খাবারের জন্য আপনার পেট ফুলে গিয়েছে সে সকল খাবার পরিহার করুন। খাবারের এলার্জির কারণে প্রায়শই পেট ফুলে যায়। 
  • কোমল পানীয়, চুইংগাম, পাইপ দিয়ে কোন কিছু খাওয়া, চিনি জাতীয় খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।
  • পেট ফুলে থাকলে মুখ দিয়ে যেন পেটে অতিরিক্ত বাতাস প্রবেশ না করে সে বিষয়ে নজর রাখুন। প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করুন। 
  • পেপারমিন্ট তেল গ্রহণ করুন। এটি দ্রুততার সহিত পেট ফুলে যাওয়া কমিয়ে দেয়। 
  • ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ঔষধ গ্রহণ করুন এবং অ্যান্টাসিড ঔষধ চুষে খেতে পারেন। এটি আপনার পেট ফুলে যাওয়ার ভাবটিকে দ্রুত কাটিয়ে দিবে। 

তলপেট ফুলে গেলে কখন চিকিৎসা নিবেন 

প্রিয় বন্ধুরা পোষ্টের পূর্ববর্তী অংশ থেকে আপনারা তলপেট ফুলে যাওয়ার কারণ সমূহ সম্পর্কে জেনেছেন। এছাড়াও ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে তলপেট ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ করবেন সে বিষয়টিও অবগত হয়েছেন। যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে পেট ফোলা সমস্যা সমাধান করা না যায় তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। এবার চলুন পেট ফুলা সংক্রান্ত কি কি লক্ষণ দেখলে আপনারা ডক্টরের কাছে যাবেন এমন কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিই।
  • তলপেট ফুলে যদি বৃক্ক বিকল, কনজেসটিভ হৃদপিণ্ড বিকল হওয়ার মতো উপক্রম দেখা দেয় তবে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। 
  • আপনার যদি গ্লুটেনযুক্ত খাবারের প্রতি অনীহা দেখা দেয় তবে সেটি ভালো লক্ষণ নয়। এ অবস্থায় পেট ফুলে গেলে ডাক্তারের কাছে যান। 
  • অগ্নাশয়ের অপ্রতুলতার কারণে হজম শক্তি নষ্ট হলে পেট ফুলে যায়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার কোন বিকল্প নেই। 
  • পেটের খাদ্যনালীতে ছিদ্র হওয়ার ফলে সে দিক দিয়ে অতিরিক্ত গ্যাস বের হয়ে যেতে পারে। এ কারণে দেহ বাইরে থেকে প্রচুর বাতাস গ্রহণ করে এবং পেট ফুলে যায়। এমন অবস্থা দেখলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। আর তলপেট ফুলে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে আবারও জানতে চাইলে পোস্টের পূর্ববর্তী অংশ পড়ে ফেলুন। 

উপসংহার 

প্রিয় বন্ধুরা, এই পোস্টটি পড়ে নিশ্চয়ই আপনারা তলপেট ফুলে যাওয়ার কারণ ও মেয়েদের পেট ফোলার কারণগুলো জানলেন। একই সাথে তলপেট ফুলে গেলে কি ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে উপকৃত হবেন তাও জানতে পেরেছেন। সবশেষে তলপেট ফুলে যাওয়ার কোন অবস্থা দেখলে আপনাদের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে সেই বিষয়টিও আমরা এই পোস্টে উল্লেখ করেছি। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হয়েছেন। চাইলে এই পোস্টটি অন্যদের সাথে শেয়ার করে কি কি কারণে পেট ফুলে যায় সেটি তাদেরকেও জানাতে পারেন। আর নিত্যনতুন স্বাস্থ্য বিষয়ক রকমারী টিপস পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

FAQs (সাধারণ জিজ্ঞাসা) 

প্রশ্ন: পেট ফুলে গেলে কখন চিন্তিত হওয়া উচিত?
উত্তর: পেট ফোলা দীর্ঘস্থায়ী হলে এবং ডায়রিয়া ভালো না হলে সেটি চিন্তিত হওয়ার কারণ হতে পারে। পেট ফুলে যদি পায়খানার সাথে রক্ত পড়ে তখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। 

প্রশ্ন: কোন ধরনের পেট ব্যথা গুরুতর?
উত্তর: তলপেট ব্যথা হয়ে যদি সেটি ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত ফুলে বা ফেঁপে থাকে তখন সেই পেট ব্যথাকে গুরুতর হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। 

প্রশ্ন: খাবার খাওয়ার পর পেট ফুলে যাওয়ার কারণ কি?
উত্তর: অত্যাধিক এসিডিটি ও পরিপাকতন্ত্রের অস্বাভাবিকতার কারণে পেটের ভেতরে পেশিগুলো নড়াচড়া করতে পারে না। ফলশ্রুতিতে পেট ফুলে যায় এবং ব্যথা সৃষ্টি হয়। 

প্রশ্ন: পেট ফোলা ও গ্যাসের জন্য শসা খেলে কি ভালো হয়?
উত্তর: তলপেট ফোলা ও গ্যাসের জন্য দারুণ কার্যকরী হতে পারে শসা। ডিহাইডেশনের কারণে যদি কখনো পেট ফুলে যায় তবে শসা খেতে পারেন। কারণ শসা 95% পানি দিয়ে তৈরি। 

প্রশ্ন: গোলমরিচ খেলে কি পেট ফুলে যায়?
উত্তর: মসলাদার যে কোন খাবারই পেটে এসিডিটি বৃদ্ধি করে গ্যাস সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে গোলমরিচ, মরিচের গুঁড়ো, লবঙ্গ, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি খেলে কমবেশি পেট ফুলে যেতে পারে। 

প্রশ্ন: পেট ভারী লাগার কারণ কি?
উত্তর: অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ, খালি পেটে তেল চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া, চাপের সময় খাদ্য গ্রহণ করা, বদহজম, পেটে অ্যাসিডিটি সৃষ্টি হয়ে প্রচুর গ্যাস হওয়া ইত্যাদির কারণে পেট ভারী লাগতে পারে।

প্রশ্ন: তলপেটের বাম দিকে কি থাকে?
উত্তর: তলপেটের বাম দিকে ছোট অন্ত্রের অংশ, সিগময়েড কোলন এবং বাম কিডনির মূত্রনালী থাকে।

প্রশ্ন: কোন রোগে তলপেটে ব্যথা হয়?
উত্তর: অন্ত্রের প্রবাহ জনিত রোগ, ছোট অন্ত্রের ক্যান্সার, সেলিয়াক রোগ সহ অন্ত্রের বিভিন্ন রোগের কারণে তলপেটে ব্যথা অনুভূত হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
এই পোস্টে কমেন্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

অনির্বাণ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url