ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় - ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ ও কারণ

ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শরীরে যে সকল ক্যান্সার দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ব্লাড ক্যান্সার। যদি কেউ ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত হয় তাহলে ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় এগুলো জানা থাকলে আমরা খুব সহজে এখান থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারব। এই আর্টিকেলে ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় - ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ ও কারণ

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায়

ব্লাড ক্যান্সার কি | ব্লাড ক্যান্সার কত প্রকার 

ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনাকে প্রথমে ব্লাড ক্যান্সার কি এবং ব্লাড ক্যান্সার কত প্রকার এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে ক্যান্সারে আক্রমণ করে থাকে এগুলোর মধ্যেও অন্যতম হলো ব্লাড ক্যান্সার। তবে আমাদের অনেকেরই ব্লাড ক্যান্সার রোগটি আসলে কি এ বিষয়টি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা নেই।

ব্লাড ক্যান্সার হলো একটি মারাত্মক ধরনের ক্যান্সার আক্রান্ত রোগ। আমাদের শরীরে যে রক্ত রয়েছে সাধারণত এই রক্তের তিনটি প্রকারভেদ রয়েছে এগুলো হলো শ্বেত রক্তকণিকা, লোহিত রক্তকণিকা এবং অনুচক্রিকা। এ রক্ত কণিকাগুলোর মধ্যে যদি শ্বেত রক্তকণিকার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে তাহলে ব্লাড ক্যান্সার হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অন্যান্য রক্ত কণিকার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া সহ বিভিন্ন অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। ব্লাড ক্যান্সার মূলত তিন প্রকারের হয়ে থাকে। সেগুলো হলো:

  1. লিউকেমিয়া 
  2. লিম্ফোমা
  3. মেলোমা

ব্লাড ক্যান্সার হলে আমাদের রক্তের শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমাণ বেড়ে যায় যার ফলে লোহিত রক্ত কণিকা এবং অনুচক্রিকার পরিমাণ কমে যায় সাধারণত তখন এটি ক্যান্সারে পরিণত হয়। অনেক সময় রোগীরা রক্ত শূন্যতায় ভুগতে থাকে। আশা করি ব্লাড ক্যান্সার কি এ বিষয়টি সম্পর্কে আপনার ধারণা পরিষ্কার হয়েছে। কিন্তু ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় কি, তা পরবর্তী অংশ থেকে আপনারা জেনে নিতে পারবেন। 

ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি

প্রতিটি রোগের বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে ঠিক তেমনি ব্লাড ক্যান্সারের কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ রয়েছে। কোন ব্যক্তি যদি ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত হয় অর্থাৎ তার শরীরে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তাহলে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য লক্ষণ দ্বারা সেটি প্রকাশিত হয়। তাই ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন হতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে ব্লাড ক্যান্সার এর লক্ষণ গুলো কি কি সে সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। তো চলুন কি কি লক্ষণ দেখা দিলে আপনি বুঝবেন যে ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে সেগুলো এক নজরে জেনে ফেলি। 

আরও পড়ুন: নাকের দুই পাশে কালো দাগ দূর করার উপায়

১। ঘন ঘন জ্বর হওয়া ব্লাড ক্যান্সারের অন্যতম একটি লক্ষণ। অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি জ্বর হতে দেখা যায়, যেটি কোনমতেই ভাল হয় না। এমনকি ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ হিসেবে এটি প্রকাশ পেতে পারে। 

২। হঠাৎ করেই দেহের ওজন অস্বাভাবিক হারে কমে যায় এবং যেকোনো কাজ করতে দুর্বলতা ও ক্লান্তি ভাব অনুভূত হয়। কোন কাজ করতে গেলে ব্যক্তি অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠে। 

৩। ব্লাড ক্যান্সার হলে শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ কমে যায়। যার ফলে আমাদের শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা যায় এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।

৪। শরীরের অস্থিমজ্জা গুলো ভেঙে ক্যান্সারের সেলগুলো অনেক বেড়ে যায়। হাড়ের অভ্যন্তরে ও জয়েন্টে তীব্র ব্যাথা অনুভূত হয়। সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে এই ব্যথা স্বাভাবিক জীবন যাপনকে দুর্বিষহ করে তোলে। 

৫। শরীরে আকস্মিক রক্তক্ষরণের মত সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে। ত্বকে অত্যাধিক পরিমাণ চুলকানি হয় যা ক্ষত সৃষ্টি করে এবং রক্তপাত ঘটায়। এছাড়াও নাক, মাড়ি ও অন্যান্য স্থান থেকে রক্তপাত ঘটতে পারে। 

৬। ব্লাড ক্যান্সারের অন্যতম একটি প্রধান লক্ষণ হলো খাবারের প্রতি অরুচি। ব্লাড ক্যান্সার হলে রোগী খাবারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং ক্ষুধা কমে যায়। বমি বমি ভাব প্রায়শই হয়ে থাকে।

৭। ব্লাড ক্যান্সারের কারণে আমাদের পায়ে পানি কমে যায়। ঘাড়, কুঁচকে, পেট সহজ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অযাচিত মাংশ বৃদ্ধিতে ফুলে যায় যা লিম্ফ নোড লিম্ফোমা নামে পরিচিত। বৃদ্ধ নোডগুলি কোমল ও নমনীয় হয়ে থাকে। 

৮। ব্লাড ক্যান্সার শরীরে আক্রান্ত হলে চেহারায় ফ্যাকাসে ভাব ফুটে ওঠে। শরীরের ত্বক খসখসে হয়ে যায়। চেহারার প্রাণবন্ত ভাব চলে গিয়ে একটি অসুস্থ অবস্থা প্রকাশিত হয়।

মোটামুটি এ সকল লক্ষণগুলো কোন ব্যক্তির মধ্যে প্রকাশিত হলে সেটি ব্লাড ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। কিন্তু মহিলাদের মধ্যে ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো ততটা সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয় না। সেজন্য ব্লাড ক্যান্সারের সকল লক্ষণ সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা বাঞ্ছনীয়।

ব্লাড ক্যান্সার কেন হয় - ব্লাড ক্যান্সারের কারণ সমূহ

ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় গুলো জেনে নেবার পূর্বে কি কি কারণে ব্লাড ক্যান্সার আমাদের দেহে আক্রান্ত হতে পারে সে বিষয়ে জেনে নেওয়া জরুরী। ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার কারণগুলো জানা থাকলে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজতর হবে। 

  • দেহের 'ডিএনএ' এর পরিবর্তন অথবা অস্বাভাবিকতার কারণে ব্লাড ক্যান্সার কোষ জন্ম লাভ করতে পারে। এই ডিএনএ পরিবর্তন সাধারণত বয়স, বংশগত কারণ, লিঙ্গ ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে। 
  • শরীরের সংস্পর্শে ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয় রাসায়নিক পদার্থ থাকলে একটি পর্যায়ে গিয়ে তা ব্লাড ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।

  • জন্মগত কোন শারীরিক ত্রুটি থাকলে রক্তের ভেতর অনেক সময় ক্ষতিকর পদার্থ জন্ম লাভ করে। ফলশ্রুতিতে ব্লাড ক্যান্সারের মত মরণঘাতী ব্যাধি দেখা দিতে পারে।

  • কি খেলে ব্লাড ক্যান্সার হয় আপনারা জানেন কি? এমন কিছু খাবার রয়েছে যা অতিক পরিমাণে খেলে ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন: অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার, প্রক্রিয়াজাত মাছ মাংস, অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার, দুগ্ধ জাতীয় খাবার ইত্যাদি। 
সুতরাং কি খেলে ব্লাড ক্যান্সার হয় ও কি কি প্রধান কারণে ব্লাড ক্যান্সার আমাদের শরীরে আক্রান্ত হতে পারে সে বিষয়টি বুঝতে পারলেন। এবার ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় গুলো কেমন হতে পারে সে বিষয়ে আমাদের জানতে হবে। 

ব্লাড ক্যান্সার হলে কি হয় | ব্লাড ক্যান্সার কিভাবে হয় 

ক্যান্সার যেহেতু একটি মারাত্মক রোগ সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে ব্লাড ক্যান্সার হলে কি হয় এ বিষয়গুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখা উচিত। শরীরের যে সকল মারাত্মক ক্যান্সার রয়েছে সেগুলোর মধ্যে ব্লাড ক্যান্সার অন্যতম। আমরা জানি যে মানব শরীর রক্ত মাংসের সমন্বয়ে গঠিত হয়। রক্ত আমাদের অস্থিমজ্জার ভেতরে তৈরি হয়ে থাকে।

অস্থিমজ্জার ভেতরে থাকা রক্তগুলো প্রবাহিত হয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে চলে যায়। আমাদের রক্তে বিভিন্ন ধরনের কণিকা রয়েছে এগুলোর মধ্যে লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা এবং অনুচক্রিকা অন্যতম। যদি কেউ ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তাহলে রক্তের অস্থিমজ্জার ভেতর শ্বেত রক্তকণিকার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে।

আরো পড়ুনঃ পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় দোয়া - মাসিকের ব্যথায় করণীয়

এর ফলে লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ অনেকটাই কমে যায় যার ফলে আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। শরীরের অভ্যন্তরে রক্ত তৈরির এই প্রক্রিয়ার অস্বাভাবিক অবস্থাই লিউকোমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সার নামে পরিচিত। শ্বেত রক্তকণিকা বেড়ে গেলে অস্বাভাবিক রক্ত প্রবাহের ফলে শ্বেত রক্ত কণিকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। কি অবস্থা ক্রমাগত চলতে থাকলে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। সুতরাং ব্লাড ক্যান্সার কিভাবে হয়ে থাকে তা বুঝে ফেললেন। 

ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় | ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়

যেহেতু ব্লাড ক্যান্সার একটি মারাত্মক রোগ এবং যদি ব্লাড ক্যান্সার শেষ পর্যায়ে চলে যায় তাহলে মৃত্যু অনিবার্য। তাই নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য হলেও ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় গুলো সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা রাখা উচিত। যেহেতু ব্লাড ক্যান্সার আমাদের রক্তের সাথে সম্পর্কযুক্ত তাই রক্তের বিষয়গুলোতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় গুলো চলুন এবার জেনে ফেলি। 

১। বর্তমান সময়ে আমরা প্যাকেটজাত খাবার বেশি খেয়ে থাকি। সাধারণত এই খাবারগুলোতে আমাদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল যুক্ত করা হয়। তাই ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এ ধরনের খাবারগুলো খাওয়া বাদ দিতে হবে।

২। যে কোন খাবার কিনে খাওয়ার আগে আমাদেরকে তার মেয়াদ ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। কারণ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার বিক্রি করে থাকে এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

৩। ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই নিরাপদ খাবার গ্রহণ করতে হবে। প্যাকেটজাত খাবার বিভিন্ন রং মেশানো খাবার এবং অনেক দিন ধরে প্রক্রিয়াজাত করা খাবার থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে।

৪। নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে। কিছু শরীরচর্চা আছে যেগুলো ঘরে বসে করা যায়। যদি প্রতিদিন আমরা যদি শরীরচর্চা গুলো করতে পারি তাহলে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেকটাই উপকারী হবে। এছাড়া বেশ কিছু মারাত্মক রোগ রয়েছে যেগুলো থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারবো।

৫। আমরা যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে না পারি তাহলে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সুস্থ থাকার জন্য পরিমিত ঘুমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আপনি যদি ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্ত থাকতে চান তাহলে দৈনিক অন্তত ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। 

৬। ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদেরকে বেশি করে সবুজ শাক-সবজি খেতে হবে। কারণ সবুজ শাকসবজির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ক্যান্সার থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। তাছাড়াও ব্লাড ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সবুজ ফলমূল সংযুক্ত করতে হবে। 

৭। স্বাস্থ্য বিধি মেনে জীবন যাপন করার পাশাপাশি নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ব্লাড ক্যান্সার পরীক্ষা করে শিওর হতে হবে যে সেটি ক্যান্সারের জীবাণু কিনা। 

৮। ব্লাড ক্যান্সার রোগীর খাদ্য হিসেবে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সেই সাথে মাছ, মুরগি, ডিম, চর্বি, ছোট মাছ ইত্যাদি বেশি বেশি খেতে হবে। ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি লাভের জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

ব্লাড ক্যান্সারের রোগী কতদিন বাঁচে | ব্লাড ক্যান্সার কি ভাল হয়

পূর্ববর্তী অংশ হতে আপনারা বিস্তারিতভাবে ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় গুলো সম্পর্কে জেনেছেন। অনেকে প্রায়শই জিজ্ঞাসা করেন একজন ব্যক্তি ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে? এ প্রশ্নের উত্তরে অনেক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জবাব দিয়েছেন একেকজনের ক্যান্সারের ধরন একেক রকম হয়ে থাকে। ব্লাড ক্যান্সার হলে একজন রোগী কতদিন বাঁচবে তা সম্পূর্ণই নির্ভর করে ক্যান্সার সনাক্তকরণ, ব্যক্তির বয়স এবং চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর। তাই সুনির্দিষ্টভাবে কত দিন বাঁচে তা বলা যায় না।

আবার অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন ব্লাড ক্যান্সার কি ভাল হয় নাকি এর শেষ পরিণতি মৃত্যু! ব্লাড ক্যান্সার এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো সনাক্ত হওয়া মাত্র কোন ব্যক্তি যদি যথাযথ চিকিৎসা নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক জীবন যাপন করে তবে একটা পর্যায়ে গিয়ে ব্লাড ক্যান্সার থেকে বেঁচে যেতে পারে। মনে রাখতে হবে ব্লাড ক্যান্সারের নিশ্চিত পরিণতি একরকম মৃত্যুই। তবে পূর্ব থেকে প্রতিরোধমূলক বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণে ব্লাড ক্যান্সার মোকাবেলা করা সম্ভব।

ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা | ব্লাড ক্যান্সার রিপোর্ট

ব্লাড ক্যান্সার রোগের মৃত্যুর লক্ষণ গুলো ব্লাড ক্যান্সারের রিপোর্ট থেকে বোঝা যায়। আপনারা তো ইতোমধ্যে ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় গুলো জেনে নিয়েছেন। ব্লাড ক্যান্সার নির্ণয় করার জন্য ডাক্তাররা লিম্ফ নোড বায়োপসি, সিটি এমআরআই, বোন ম্যারো টেস্ট, ফ্লো সাইট্রোমেট্রি ইত্যাদি পরীক্ষা করে থাকে। উক্ত পরীক্ষাগুলোর ভিত্তিতেই মূলত ব্লাড ক্যান্সারের রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্লাড ক্যান্সার চিকিৎসার কিছু উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি হলো:

আরও পড়ুন: কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

  • রেডিয়েশন থেরাপি 
  • ইমিউনো থেরাপি 
  • স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্টেশন 
  • টার্গেটেড থেরাপি
  • কেমোথেরাপি 
  • ক্লিনিকাল ট্রায়াল
  • টার্গেটেড ও ইমিউনো থেরাপি ড্রাগস 
  • কেমোথেরাপি ঔষধ

ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায়ঃ উপসংহার

বন্ধুরা আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আপনাদের ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে আপনারা ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ ও কারণসমূহ জেনে নেওয়ার পাশাপাশি ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় এবং চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তার অবগত হয়েছেন। আশা করি ব্লাড ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে এই পোস্টটি উল্লেখিত তথ্যগুলো আপনার কাজে আসবে।

আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন। প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক দরকারি পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। 

FAQs (ব্লাড ক্যান্সার সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা) 

প্রশ্ন: ব্লাড ক্যান্সারের অপর নাম কি?
উত্তর:
 ব্লাড ক্যান্সারের অপর নাম হল লিউকেমিয়া। যেটি মূলত সে তো রক্ত কণিকার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে সৃষ্টি হয়ে থাকে।

প্রশ্ন: ব্লাড ক্যান্সার কি ছোঁয়াচে?
উত্তর: শরীরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্বাভাবিকতার কারণে যেহেতু ব্লাড ক্যান্সার সৃষ্টি হয়, তাই এটি অন্যান্য ক্যান্সারের মতো ছোঁয়াচে নয়। 

প্রশ্ন: ব্লাড ক্যান্সারের প্রথম স্টেজ কোনটি?
উত্তর: ব্লাড ক্যান্সারের সর্বপ্রথম স্টেজ হলো লিউকেমিয়া। এটি শ্বেত রক্ত কণিকার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা দিয়ে অস্থিমজ্জার কার্যকারিতা নষ্ট করে।

প্রশ্ন: থ্যালাসেমিয়া কি ব্লাড ক্যান্সার?
উত্তর: রক্তশূন্যতার কারনে মূলত থ্যালাসেমিয়া হয়। তাই এটিকে ব্লাড ক্যান্সার ভাবার কোন কারণ নেই। কিন্তু থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর একটি পর্যায়ে গিয়ে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ক্যান্সার হাসপাতাল কোনটি?
উত্তর: জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ক্যান্সারের হাসপাতাল নামে পরিচিত। এটি রাজধানীর শহর ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
এই পোস্টে কমেন্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

অনির্বাণ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url