বরই খেলে কি উপকার হয় - গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকারিতা

বরই খেলে কি উপকার হয় আপনি জানেন কি? বরইয়ে রয়েছে বহু ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকারিতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আপনি বরই খেলে কি উপকার হয় তা যদি না জেনে থাকেন তবে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে ফেলুন। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বরই খেলে কি উপকার হয় সেটি জেনে নেওয়ার পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় বড়ই খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানবো। 
বরই খেলে কি উপকার হয় - গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকারিতা

শীতকালের শেষের দিকে আমাদের দেশে বরই ফলটির মৌসুম শুরু হয়। ফল হিসাবে বরই যেমন সুমিষ্ট তেমনি এর বহু স্বাস্থ্য গুনাগুন রয়েছে। বাজারে বরইয়ের টক, ঝাল, মিষ্টি বিভিন্ন আচার পাওয়া যায়। কিন্তু মৌসুমী এই বরই ফলের উপকারিতা কি কি রয়েছে আসুন আজ আমরা সে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ভাবে জেনে ফেলি। আপনাদের সুবিধার্থে সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আজ আমরা বরই খেলে কি উপকার হয়, বরই খাওয়ার উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়া যাবে কি ইত্যাদি বিষয়গুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে আলোচনা করব। 

সূচিপত্র - বরই খেলে কি উপকার হয় - গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকারিতা

বরই এর পুষ্টিগুণ 

বরই খেলে কি হয় সেটি জেনে নেবার পূর্বে বরই এর সব ধরনের পুষ্টিগুণ সম্বন্ধে আমাদের ধারনা থাকা দরকার। বরই অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। প্রতি ১০০ গ্রাম বরই এর ভেতর পানি ৭৭ গ্রাম, ৭৯ কিলো ক্যালোরি শক্তি, ২০ গ্রাম শর্করা, ১০ গ্রাম আঁশ, ৫ শতাংশ পটাশিয়াম, ভিটামিন এ ৪০%, ৭৭% ভিটামিন সি, ১ গ্রাম প্রোটিন এবং ফসফরাস ২৩ গ্রাম রয়েছে। এছাড়াও বরই এর অভ্যন্তরে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা যেকোনো রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রহরির মতো কাজ করে। এছাড়াও বরইয়ে আমাদের ত্বকের জন্য উপযোগী বেশ কিছু দরকারি উপাদান রয়েছে। পরবর্তী অংশে আপনারা বরই খেলে কি উপকার হয় সে সম্পর্কে জানবেন। 

বরই খাওয়ার উপকারিতা কি - বরই ফলের উপকারিতা 

বন্ধুরা আপনারা নিশ্চয়ই বরই খেলে কি উপকার হয় এ বিষয়টি জেনে নিতে এই পোস্টটি পড়া শুরু করেছেন। বরইয়ের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ এবং উপাদান সম্বন্ধে ইতোমধ্যে আপনাদের ধারণা দিতে পেরেছি। এবার আপনাদের সামনে বরই খেলে কি হয় তথা বরইয়ের উপকারিতা সমূহ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরব। অতএব কুল খাওয়ার উপকারিতা সমূহ এবার নিচ থেকে ঝটপট পড়ে ফেলুন। 

আরও পড়ুন: ছাদে বেদানা চাষ পদ্ধতি - টবে ডালিম চাষ পদ্ধতি

  • রক্ত বিশুদ্ধ করণ: শুকনো বরই এর অভ্যন্তরে আপনি অ্যালকালয়েড, সাপোনিন, ট্রাইটারপেনয়েড নামক বহু উপকারী উপাদান পেয়ে যাবেন। এগুলো আপনার রক্তকে পরিশুদ্ধ রেখে হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করবে।

  • লিভারের সুরক্ষা: আমাদের শরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তন্ত্র হলো লিভার। লিভার সুরক্ষিত থাকলে শারীরিকভাবে ফিট ও সুস্থ থাকা যায়। শরীরে ফ্রি র‌্যাডিকেলগুলো লিভারের ক্ষতি করে থাকে, যা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে বরইয়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমূহ।

  • মানসিক প্রশান্তি: বরই এর চমৎকার একটি গুণ হল এটি মানসিক অবসাদ ও দুশ্চিন্তা নিমিষেই দূর করে দিতে পারে। তাই যারা বিভিন্ন মানসিক টেনশনে ভুগেন তাদের ডাক্তাররা অধিক পরিমাণে বরই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে।

  • হাড় শক্তিশালী করা: বরইয়ে অধিক পরিমানে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, মিনারেল ও ভিটামিন পাওয়া যায়। আমাদের শরীরে হাড় গঠন ও মজবুত করার ক্ষেত্রে এ সকল উপাদানগুলো সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাই হাড়কে সুগঠিত রাখার জন্য বরই খাওয়ার বিকল্প নেই।

  • ক্যান্সার প্রতিরোধ: বরই খেলে কি উপকার হয় তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ক্যান্সার প্রতিরোধ। কেননা বড় এ প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের টিউমার সৃষ্টি প্রতিরোধ করে। ফলে কোন ক্যান্সারের জীবাণু শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না।

  • ওজন নিয়ন্ত্রণ: বরইয়ের অন্যতম ভালো দিক হলো এটিতে কোন চর্বি বা ফ্যাট নেই। অন্তত ৪টি বড়ই খেলে আপনি ৪৪ কিলো ক্যালরি শক্তি লাভ করবেন। তাই দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বরই ফলের উপকারিতা সর্বাধিক। সে কারণেই ডায়েটেশিয়ানরা ওজন কমানোর জন্য সহায়ক খাবার হিসেবে বরই খেতে উদ্বুদ্ধ করে থাকেন।

  • ইনসোমোনিয়া দূর: আমাদের অনেকেরই বর্তমানে একটি সাধারণ সমস্যা হিসেবে অনিদ্রা বা ইনসোমোনিয়া হতে দেখা যাচ্ছে। বরইয়ে বিদ্যমান শক্তিশালী কেমিক্যাল সমূহ অনিদ্রা কমিয়ে আনতে দারুণভাবে কাজ করে থাকে।

  • রক্ত সঞ্চালন: বরইয়ে থাকা আয়রন ও ফসফরাস রক্তের উৎপাদন বৃদ্ধি করার পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। তাই যাদের অধিক রক্তচাপ সমস্যা রয়েছে তারা চাইলে মৌসুমী ফল বরই নির্দ্বিধায় খেতে পারেন। এছাড়াও বরই পেটের সমস্যা যেমন: বদহজম, গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি  দূর করে এবং মাংসপেশি উন্নত করে।

  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে: একটি বরইয়ে অভ্যন্তরে প্রায় ৮০ শতাংশই হলো পানি। তাই পেটকে পরিষ্কার রেখে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে চাইলে অবশ্যই নিয়মিত বরই খাওয়া উচিত। এছাড়াও বরই যকৃতকে পরিশুদ্ধ ও কর্মক্ষম রাখে।

  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো ও সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ: বরইয়ে 'ক্লোরোজেনিক' নামক এক ধরনের বিশেষ এসিড থাকে যা।রক্তের সুগার লেভেলকে বাড়তে দেয় না। এছাড়াও হার্ট কে সুরক্ষিত রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে বরই এর ভূমিকা অনস্বীকার্য।

সুতরাং বরই খেলে কি উপকার হয় তা আপনারা অনেকটাই জেনে ফেললেন। এবার গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকারিতা কি সে বিষয়টি জেনে নেওয়ার পালা। এছাড়াও বরইয়ের পাতা খাওয়ার উপকারিতা আপনারা জেনে থাকবেন। বরইয়ের মত বরইয়ের পাতা খাওয়াও স্বাস্থ্যগত দিক থেকে অনেক ফলপ্রসু ভূমিকা পালন করে। পরবর্তী অংশে আপনারা বরই খেলে কি উপকার হয় সে সম্বন্ধে আরও অধিক তথ্য জানতে পারবেন। 

গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়া যাবে কি - গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকারিতা 

পূর্ববর্তী অংশ থেকে আপনারা ইতোমধ্যে বরই খেলে কি উপকার হয় সে সম্বন্ধে বিস্তর ধারণা লাভ করেছেন। অনেকে জিজ্ঞাসা করে থাকেন গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়া যাবে কি না? তাদের উদ্দেশ্যে এবার গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার বিচিত্র সব উপকারী দিক তুলে ধরব। অভিজ্ঞ ডাক্তারদের মতে গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ। 

আরও পড়ুন: কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম এবং হাদিস

  • গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বরই খাওয়ার বিকল্প নেই।
  • অনেকে গর্ভাবস্থায় বেশ মোটা হয়ে যান। শরীরের চর্বি কাটাতে বরই ভূমিকা রেখে থাকে। 
  • গর্ভাবস্থায় হজম শক্তি বৃদ্ধিতে এটি সহায়ক। এছাড়াও এ সময় বমি ও তৃষ্ণা দূর করে বরই।
  • বরইয়ে থাকা আয়রন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম গর্ভবতী নারীর স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষভাবে প্রয়োজন। 
  • গর্ভাবস্থায় দিনে অন্তত ১০ টি বরই খেলে গর্ভবতী মায়ের দেহে এটি টনিক হিসাবে কাজ করে। অর্থাৎ এটি যে কোন রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
  • বরই খেলে এটি গর্ভের শিশুর জন্য উপকারী। কারণ গর্ভাবস্থায় মা যে সকল খাবার খায় সে সকল উপাদান থেকেই শিশু পুষ্টি লাভ করে। 
সুতরাং গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকারিতা আপনারা বিস্তারিত জেনে ফেললেন। এখন আপনাদের কেউ গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়া যাবে কি এ প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করলে আপনারা তার সঠিক উত্তর প্রদান করতে পারবেন। মনে রাখবেন গর্ভাবস্থায় ভিটামিন সমৃদ্ধ যে কোন ফল খাওয়াই মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য মঙ্গলজনক। 

আরো কিছু বরই খাওয়ার উপকারিতা কি তা জানুন 

বরইয়ের উপকারিতা সম্পর্কে ইতোমধ্যে আপনারা অনেকটাই অবগত হয়েছেন। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের বরই উৎপাদিত হতে দেখা যায়। কোনোটা খেতে মিষ্টি, কোনোটা পানসে, আবার কোনোটা অধিক টক স্বাদযুক্ত হয়ে থাকে। যদিও অধিকাংশ মানুষ মিষ্টি বরই খেতেই বেশি পছন্দ করে। এবার বরইয়ের কোন জাতটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অধিক উপকারী এ ব্যাপারটিও জেনে রাখা প্রয়োজন। তবে চলুন বড়ই খেলে কি হয় সে বিষয়ে আরো কিছু তথ্য জেনে নিই।

দেশি বরই এর উপকারিতা:

দেশি বড়ই সাধারণত সাইজে ছোট এবং বেশ সুস্বাদু হয়ে থাকে। বরই এমন একটি ফল যা শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সকল বয়সী মানুষের কাছেই সমানভাবে সমাদৃত। আপনি ভাবুন তো দেশি বরইয়ের সাথে একটু লবণ এবং মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খাচ্ছেন তাহলে কি জিভে জল চলে আসবে না? যত বেশি দেশি বরই খাবেন এটি আপনার ব্রেনকে একটিভ রাখতে সহায়তা করবে। এছাড়াও দেশি বরই খেলে এটি দেহের ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দেশি বড়ই ত্বকে বয়সের ভার বুঝতে দেয় না। এছাড়াও ঠোঁটের পাশে ঘা ও ঠোঁট ফাটা সমস্যা প্রতিরোধে শীতকালে দেশি বরই খাওয়া যেতে পারে। 

মিষ্টি বরই এর উপকারিতা: 

অনেকে ভাবেন মিষ্টি বরই খেলে বুঝি ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। আসলে ব্যাপারটি মোটেও তেমন নয়। মিষ্টি বরইয়েও হয়েও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আর এই ভিটামিন যে কোন রোগ প্রতিরোধে নিয়ামকের ভূমিকা পালন করে। শীতকালে সর্দি, কাশি প্রতিরোধ করতে মিষ্টি বরই খাওয়া যেতে পারে। বরইয়ের বিচিতেও রয়েছে ভেষজ গুনাগুন, যা গুড়ো করে আয়ুর্বেদ ও ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। অতএব মিষ্টি বড়ই খেলে এটি আমাদের সুগার লেভেল বৃদ্ধি করবে এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। বরং মিষ্টি বরই দেহের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। অতএব মিষ্টি বরই খেলে কি উপকার হয় তাও আপনারা বুঝে ফেললেন। 

কুল বরই এর উপকারিতা:

বরইকে অনেকে কুল বলেও ডেকে থাকে। আর কুল বরই গুলো কাঁচা/পাকা উভয় অবস্থাতেই খাওয়া যায়।  কুল বরই সাধারণত বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন: আপেল কুল, বাউ কুল, থাই কুল। যদিও বরই শীতকালীন ফল তবুও ১২ মাসই এটি জন্মানো সম্ভব। যেকোনো মাটিতেই কুল বরই গাছ জন্ম লাভ করতে পারে। কুল বরই খাওয়ার বিশেষ উপকারিতাগুলো হলো: এটি আমাদের হার্টকে অত্যন্ত সুরক্ষিত রাখে ফলে অনাকাঙ্খিত হৃদরোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়। কুলের এই বহুবিধ উপকারিতা জন্য আপনারা বাসার আশেপাশে ফাঁকা স্থানে অথবা বাসার ছাদে বরইয়ের গাছ লাগাতে পারেন। বরইয়ের পাতারও বিচিত্র সব উপকারিতা রয়েছে।

আরও পড়ুন: শুধু মসুর ডাল মুখে দিলে কি হয়

টক বরই এর উপকারিতা:

টক বরই খেলে এটি আমাদের দেহে ফ্যাটকে কমিয়ে ফেলে। যারা দেহের ওজন স্বাভাবিক রাখতে চান তারা নিয়মিত টক বরই অথবা শুকনো বরই খেতে পারেন। টক বরই এর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি থাকে। টক বরই এর আচার যেন অতুলনীয় এক খাবার। এছাড়াও টক বরইয়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন গুলো আমাদের দেহকে জীবাণুমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। দেশি বিভিন্ন জাতের বোরইগুলো সাধারণত টক হয়ে থাকে। সুতরাং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেহকে সুস্থ সবল রাখার জন্য বড়ই ফলের উপকারিতা অনস্বীকার্য। বরই খেলে কি উপকার হয় তা জানার জন্য পুনরায় পোস্টটি শুরু থেকে পড়ুন। 

শেষ কথা - বরই খেলে কি হয় - গর্ভাবস্থায় বড়ই খাওয়ার উপকারিতা  

বন্ধুরা সম্পূর্ণ পোস্টটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তবে অবশ্যই বড়ই খেলে কি উপকার হয় সে সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা লাভ করতে পেরেছেন। আশা করি বরই খাওয়ার উপকারিতা সমূহ আপনাদের সামনে একদম সুস্পষ্ট হয়েছে। তাই স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপন করার জন্য মৌসুমী এই বরই ফলটি আপনারা নির্দ্বিধায় খেতে পারেন। আর বড়ই খেলে কি উপকার হয়, বরই এর পুষ্টিগুণ এবং গর্ভাবস্থায় বড়ই খাওয়া যাবে কি ইত্যাদি বিষয়গুলি অন্যদের জানাতে চাইলে এখনই পোস্টটি শেয়ার করে দিন। নিত্যনতুন চমকপ্রদ সব খাবার ও স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটে নজর রাখুন।

FAQs (বরই নিয়ে প্রশ্নোত্তর)

প্রশ্ন: বরই এর ইংরেজি কি?
উত্তর: বরই এর ইংরেজি নাম হচ্ছে Plum. তবে ইংরেজিতে বরই কে Jujube বা Chinese Date হিসাবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। 

প্রশ্ন: বরই এর মধ্যে কত ক্যালরি থাকে? 
উত্তর:
বরইয়ের জলীয় অংশে প্রায় ১০৪ কিলো ক্যালরি শক্তি বিদ্যমান থাকে। 

প্রশ্ন: বরই বা কুলে কি কি ভিটামিন আছে? 
উত্তর
: কুলে প্রধানত ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম এবং অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। এ সকল উপাদানগুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক গুণ বৃদ্ধি করে। 

প্রশ্ন: কুল খেলে কি ওজন বাড়ে? 
উত্তর:
কুলে সীমিত ক্যালোরি থাকায় এটি ওজন বৃদ্ধিতে তেমন ভূমিকা রাখেনা। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তারা কুল বরই খেলে ভালো উপকার পাবেন। 

প্রশ্ন: বরই খেলে শরীর ঠান্ডা নাকি গরম হয়? 
উত্তর:
বরই মূলত একটি পানি সমৃদ্ধ ফল, যা অধিক পরিমাণে খেলে আমাদের শরীর অত্যন্ত ঠান্ডা থাকে। একই সাথে বরই আমাদের দেহে পানির চাহিদা পূরণ করতেও ভূমিকা রাখে। 

প্রশ্ন: বরই খেলে কি সুগার বাড়ে?
উত্তর:
বরই আমাদের দেহে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়। তাই বরই খেলে সুগার বেড়ে যাওয়ার তেমন কোন সম্ভাবনা নেই।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
এই পোস্টে কমেন্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

অনির্বাণ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url