প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায় - বুকের দুধ বৃদ্ধির খাবার

সন্তানের জন্য একজন প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায় জেনে রাখা অতীব জরুরি। সদ্য জন্মানো শিশুর জন্য একমাত্র আদর্শ খাবার হলো মায়ের বুকের দুধ। সেজন্য প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায় সম্বন্ধে ধারণা রাখা দরকার। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মূলত প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায় এবং বুকের দুধ বৃদ্ধির দোয়া কোনটি তা নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করব।
প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায় - বুকের দুধ বৃদ্ধির দোয়া

সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর পরিপূর্ণ পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য তাকে অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হয়। বিভিন্ন কারণে মায়ের বুকের দুধ কমে যেতে পারে। ফলে তখন গর্ভের সন্তান মায়ের বুকের দুধ না পেয়ে তার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ ব্যাহত হয়। আজকের আর্টিকেলে আমরা প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করার উপায় সহ বুকের দুধ বৃদ্ধির জন্য যে দোয়া পড়তে হবে সে বিষয়টি আপনাদের জানাবো। 

পোস্ট সূচিপত্র - প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায় - বুকের দুধ বৃদ্ধির দোয়া

কি খেলে বুকের দুধ কমে যায়

বিভিন্ন কারণে প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ উৎপাদন কমে যেতে পারে। বুকের দুধ সঠিকভাবে না পেলে শিশুর বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। মায়ের বুকের দুধ কমে যাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে একটি কারণ হল খাবার। কিছু নির্দিষ্ট খাবার মায়ের বুকের দুধের উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে।

  • ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়: কফি, চা, কোল্ড ড্রিংকস ও ক্যাফেইনযুক্ত যেকোনো ধরনের পানীয় অধিক পরিমাণে গ্রহণ করলে মায়ের বুকের দুধের উৎপাদন আশঙ্কাজনক হারে কমতে পারে। তাই স্তন্যদানকারী মায়েদের অবশ্যই কফি এবং ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় গ্রহণ করার ব্যাপারে অধিক সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজনে এগুলো এড়িয়ে চলাই উত্তম।
  • কোকো: কোকোর ভেতরে বিদ্যমান "থিব্রোমোলাইন" নামক উপাদান প্রোলাক্টিন হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দিতে পারে। প্রোলাক্টিন হরমোনই মূলত একজন মায়ের দেহে দুধ উৎপাদনের যে প্রক্রিয়া রয়েছে সেটি সিংহভাগ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাই স্তন দানকারী মায়েদের কোনোমতেই কোকো খাওয়া যাবেনা। 
  • অ্যালকোহল: এলকোহল জাতীয় খাবার বুকের দুধের উৎপাদন কমাতে পারে এমনকি এটি শিশুর জন্যও ক্ষতিকর। তাই স্তন্যদানকারী নারীর এলকোহল সেবন করা একদমই উচিত নয়। যথাসম্ভব অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকাই এ অবস্থায় বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যদিও সর্বাবস্থায় অ্যালকোহল দেহের জন্য ক্ষতির কারণই হয়ে দাঁড়ায়। 
  • টমেটো, মরিচ এবং রসুন: টমেটো, মরিচ, রসুন ইত্যাদি জাতীয় খাবার গ্রহণের ফলে শিশুর পেটে ব্যথা এবং ডায়রিয়া সৃষ্টির ব্যাপক আশঙ্কা থেকে যায। তাই এই খাবারগুলো স্তন্যদানকারী নারীদের পরিমিত পরিমাণে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক খাওয়া দরকার। এগুলো অধিক পরিমাণে এবং নিয়ম না মেনে খেলে প্রসূতি মায়ের স্তনে দুধ উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য শারীরিক অসুবিধা দেখা দিতে পারে।
  • ধূমপান করা: প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার পেছনে আরো একটি প্রধান কারণ হলো ধূমপান। তাই স্তন্যদানকারী নারীদের ধূমপান করার কথা চিন্তাও করা যাবে না। এমনকি ধূমপানকারী ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকলেও বুকের দুধ উৎপাদন প্রক্রিয়া হঠাৎই হ্রাস পেতে পারে। 
  • অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত খাবার: অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত খাবার একদিকে শরীরের ওজন বাড়াতে পারে, পক্ষান্তরে মায়ের দেহে দুধের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে ফেলতে পারে। তাই গর্ভবতী নারীদের দুধের উৎপাদন কমে যাওয়ার পেছনে দায়ী অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার নিয়ম না মেনে গ্রহণ করা।

এছাড়াও, ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করা, হরমোনাল সমস্যা ও অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অপরিকল্পিত জীবন যাপন মায়ের বুকের দুধের উৎপাদন কমাতে পারে। তাই স্তন্যদানকারী মায়েদের কোনো ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে জরুরী পরামর্শ করে নেওয়া উচিত। এই পোস্টের পরবর্তী অংশে বুকের দুধ বৃদ্ধির খাবার কোনটি তা জানতে পারবেন। 

প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায় | বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়

প্রসূতি মায়েদের বুকের দুধের উৎপাদন বাড়াতে অনেকগুলো ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে। এখন আমি আপনাদের সাথে বুকের দুধ বৃদ্ধির কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায় তুলে ধরব। এই উপায় গুলো যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করা সম্ভব।

  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। মায়ের বুকের দুধের প্রায় ৯০ শতাংশই হলো পানি। তাই প্রসূতি মায়েদের প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। প্রসূতি মায়েদের  যত বেশি পানি পান করানো যাবে ততই তার দেহে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
  • নিয়মিত বাচ্চাকে স্তন্যপান করাতে হবে। বাচ্চা যত বেশি স্তন্যপান করবে, মায়ের শরীর তত বেশি দুধ তৈরির উপযোগী হবে এবং দুধ উৎপাদনের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে। সেজন্য অবশ্যই প্রসূতি মায়েদের বাচ্চাকে ঘন ঘন স্তন্যপান করানো উচিত। এতে তার দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং ফলশ্রুতিতে বাচ্চা পরিপূর্ণ পুষ্টি লাভ করবে।
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। মাতৃত্বকালীন অবস্থায় শরীর ক্লান্ত থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এ অবস্থায়  প্রসূতি মায়েদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরী। দিনে আট থেকে দশ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করতে পারলে প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ উৎপাদন ত্বরান্বিত হবে। 
  • খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনুন। কিছু খাবার বুকের দুধের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন: টাটকা শাকসবজি, পালং শাক, মেথি শাক, শসা, ওটস ইত্যাদি। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার, যেমন: স্যালমন মাছ, ফ্ল্যাক্সসিড, বাদাম ইত্যাদি অধিক পরিমাণে খেতে হবে। 
  • হরমোন থেরাপি গ্রহণ করা মায়ের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির অন্যতম কৌশল। এই হরমোন থেরাপি বুকের দুধে উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে। তবে এ ধরনের থেরাপি গ্রহণের আগে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এ সমস্ত ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে গর্ভকালীন সময়ে মায়ের বুকের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব।

মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির জন্য ঔষধ | বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট নাম

বন্ধুরা পোষ্টের পূর্ববর্তী অংশ থেকে ইতোমধ্যে আপনারা প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায় তথা ঘরোয়া ভাবে কিভাবে বুকের দুধ উৎপাদন বাড়ানো যায় সে সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। এবার বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট কোনগুলো তার একটি তালিকা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। তবে চলুন বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট নাম কি কি তা জেনে নিই। 

আরও পড়ুন: ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় - ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ ও কারণ

  • অমিডন 
  • ডন এ
  • ল্যাকটাম
  • ল্যাকটাগন
  • পেরি ডন 
  • ল্যাকটোফ্লাওয়ার

এর ট্যাবলেট গুলো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যথাযথ নিয়ম মেনে সেবন করতে হবে এবং তার পাশাপাশি অবশ্যই বুকের দুধ বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর খাবার, শাকসবজি খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায় গুলো না জেনে থাকলে পোষ্টের আগের অংশ পড়ে নিন।

বুকের দুধ বৃদ্ধি করে যেসব খাবার | বুকের দুধ বাড়ানোর খাবার

ইতোমধ্যে প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করার বিভিন্ন ঘরোয়া উপায় সম্বন্ধে আপনারা অবগত হয়েছেন। বুকের দুধ বাড়ানোর উপায় হিসাবে প্রতিদিনের খাবার কি হওয়া উচিত এ বিষয়ে নজর রাখা অতিব জরুরী। যে সমস্ত খাবার বুকের দুধ বৃদ্ধি করে সে সমস্ত খাবার গুলো গর্ভবতী ও গর্ভকালীন নারীদের খাদ্য তালিকায় সংযুক্ত করা উচিত। তাহলে মা ও শিশু উভয়ের দেহেই পুষ্টি সরবরাহ নিশ্চিত হয় এবং শরীর সুস্থ থাকে। তবে চলুন এক নজরে জেনে ফেলি বুকের দুধ বাড়ায় যে খাবার গুলো তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা।

পানি: বুকের দুধের যেহেতু ৯০ শতাংশই থাকে পানি। তাই বুকের দুধ বাড়ানোর জন্য মায়েদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা জরুরি। সেজন্য প্রতিদিন অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করা উচিত।

দুগ্ধজাত খাবার: দুধ, দই, ছানা, পনির, মাখন ইত্যাদি দুগ্ধজাত খাবারে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ ও ডি থাকে, যা বুকের দুধের উৎপাদন বাড়াতে বিশেষ অবদান রাখে। 

শাকসবজি: শাকসবজিতে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা মায়ের বুকের দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সহায়ক। সবুজ শাকসবজি, যেমন: পালং শাক, মেথি শাক, মটরশুটি, শিম ইত্যাদি বিশেষভাবে উপকারী।

ফলমূল: সব ধরনের প্রাকৃতিক ফলমূলে ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার থাকে, যা বুকের দুধের স্বাভাবিক স্বাভাবিক উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপেল, কমলা, কলা, পেঁপে, আঙ্গুর, স্ট্রবেরি ইত্যাদি ফল দুধ উৎপাদন বাড়াতে পুষ্টিবর্ধক হিসাবে কাজ করে।

বাদাম ও বীজ: শরীরের শক্তি বর্ধক উপাদান হিসেবে বাদামের বিকল্প নেই। বাদাম ও বীজে প্রোটিন, ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধির অন্যতম উপাদান। বাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম, কুমড়ার বিচি, সূর্যমুখীর বীজ ইত্যাদি বাদাম ও বীজ প্রচুর উপকারী।

মাছ: আমিষের ভান্ডার খ্যাত মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা মায়ের বুকের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। স্যালমন, টুনা, ম্যাকেরেল, সার্ডিন ইত্যাদি সামুদ্রিক মাছ এক্ষেত্রে খাদ্য তালিকায় সংযুক্ত করতে পারেন। 

মশলা: বাজারের যেকোনো মশলায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা বুকের দুধের উৎপাদন বাড়ানোর এক অনন্য উপাদান। আদা, রসুন, জিরা, মেথি, মৌরি ইত্যাদি মশলা তাই গর্ভাবস্থায় মায়েদের খাওয়ানো যেতে পারে। 

মেথি শাক ও রসুন: সকলের পরিচিত মেথি শাকে ইস্ট্রোজেনের মতো উপাদান থাকে, যা বুকের দুধের উৎপাদন প্রসেসটি ত্বরান্বিত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। আর রসুন ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।

মৌরি ও জোয়ান: নারীদের দেহে মৌরি ও জোয়ান দুটো উপাদানই  প্রোলাক্টিন হরমোন নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য করে। এটি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। 

পেঁপে: পেঁপে ফলটিতে কাইমোপাপেইন নামক একটি এনজাইম থাকে, যা বুকের দুধ বাড়ানোর অন্যতম নিয়ামক উপাদান হিসেবে কাজ করে থাকে।

আরও পড়ুন: নাকের পলিপাস এর ড্রপ এর নাম, ওষুধ - নাকে পলিপাস হলে করণীয়

সুতরাং বুকের দুধ বাড়ানোর খাবার তালিকা থেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কোন খাবারগুলো মায়ের দেহে পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে এবং বুকের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করে। প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায় পূর্ণাঙ্গভাবে জানার জন্য পোস্টটি শুরু থেকে আবারো এক নজরে পড়ে নিতে পারেন। 

শেষ মন্তব্য - প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায়

বন্ধুরা, আজকের এই পোষ্টের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করার ঘরোয়া উপায় এবং কি কি ওষুধ খেলে বুকের দুধ বাড়বে সে বিষয়টি নিয়ে। এছাড়া প্রশ্নের ভেতর আমরা আলোচনা করেছি বুকের দুধ বৃদ্ধির দোয়া সম্বন্ধে। বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য উপরোক্ত উপায়গুলো অনুসরণ করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে যদি বুকের দুধের পরিমাণ খুবই কম থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সবশেষে প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায় অন্যদের জানাতে চাইলে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
এই পোস্টে কমেন্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

অনির্বাণ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url