মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় ২০২৪
মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় কি এমনটা অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা কিভাবে সহজ পদ্ধতিতে মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় শিখবেন সে সমস্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করব। অতএব, মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা অর্জন করার জন্য সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগের সহিত শেষ পর্যন্ত পড়ে ফেলুন।
অনেকের ধারণা এমন যে ল্যাপটপ কিংবা পিসি ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং করা যায় না। কিন্তু ব্যাপারটি একদমই সেরকম নয়। আপনারা চাইলে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়েও অনায়াসে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় তারই বিভিন্ন দিক নির্দেশনা আজকের এই পুরো পোস্ট জুড়ে উপস্থাপন করেছি। তাই মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় শেখার জন্য আজকের এই পোস্টটি আপনাদের দারুন উপকারে আসবে। অতএব এখনই পোস্টটি পড়া শুরু করুন।
পোস্ট সূচিপত্র - মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার সেরা ২০টি উপায় - মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায়
- ফ্রিল্যান্সিং কী?
- ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি কি প্রয়োজন?
- মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় সমূহ
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম
- মোবাইলে আউটসোর্সিং করার উপায় সমূহ
- কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাবেন?
- বাংলাদেশী মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং সাইট
- আমাদের শেষ বার্তা
- FAQs (মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর)
ফ্রিল্যান্সিং কী?
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার উপায় গুলো জেনে নেওয়ার পূর্বে ফ্রিল্যান্সিং মূলত কি সে বিষয়টি জেনে নিন। তাহলে মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা অর্জন করতে পারবেন। আমরা যেমন প্রাত্যহিক জীবনে কাজ করে টাকা ইনকাম করি, ঠিক তেমনিভাবে অনলাইনে কাজ করেও ইনকাম করা সম্ভব। অনলাইনে একটি নির্দিষ্ট কাজ করে টাকা ইনকাম করার মুক্ত পদ্ধতিকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়।
আপনি মোবাইল, পিসি, ল্যাপটপ সবকিছু দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। আপনার যদি মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার আগ্রহ থাকে তবে এই পোস্টটি স্টেপ বাই স্টেপ পড়ে নিয়ে মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় গুলো সহজে শিখে নিতে পারেন। অনেকের ধারণা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় না, আজকের এই পোস্টটি পড়লে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার বিষয়ে তাদের এই ভুল ধারণাটি বদলে যাবে ইনশাআল্লাহ।
কারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবে?
মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় গুলো শেখার পূর্বে এটি জেনে রাখা জরুরী যে কারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো করতে পারবে। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য নিম্নোক্ত গুণাবলী থাকা আবশ্যক।
- যাদের কাজ করার প্রতি ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে।
- যারা সময়ানুবর্তিতা মেনে কাজ করতে পারে।
- মোবাইলের যাবতীয় ফাংশন সম্পর্কে যাদের আইডিয়া রয়েছে।
- যারা অল্পতেই হতাশাগ্রস্থ হবে না তথা লেগে থাকার মানসিকতা থাকতে হবে।
- যারা যেকোনো বিষয় শিখার জন্য মস্তিষ্ককে প্রয়োজন মাফিক কাজে লাগাতে পারে।
- যারা অনলাইনে কাজ শিখতে ব্যাপক আগ্রহী।
- যাদের ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা রয়েছে।
- যারা অর্থ লোভী নয় বরং কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাসী।
মোটামুটি এসকল গুণাবলী একজন মানুষের ভেতর বিদ্যমান থাকলে, সে ফ্রিলান্সিং জগতে এসে সফলতা অর্জন করতে পারবে। পোষ্টের পরবর্তী অংশে মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় তথা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করার সেরা ২০টি উপায় আপনাদের সামনে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করব। এবার চলুন জেনে নিই ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি কি প্রয়োজন।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি কি প্রয়োজন?
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার বেশ কয়েকটি জিনিসের প্রয়োজন হবে। মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় শেখার পূর্বেই এই জিনিসগুলো অবশ্যই আপনার নিকট থাকতে হবে।
- একটি ভাল মানের ল্যাপটপ অথবা মোবাইল ফোন।
- একটি ফাস্ট ইন্টারনেট কানেকশন।
- যে বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন সে সম্পর্কে পূর্ব দক্ষতা।
- ইংরেজিতে ভালো কমিউনিকেশন স্কিল।
- মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট এবং ফটো এডিটিং এ দক্ষতা।
মোটামুটি এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে পারলেই আপনি খুব সহজে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। এবার চলুন মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার সেরা ২০টি উপায় জেনে ফেলি।
মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় সমূহ
বন্ধুরা আপনারা নিশ্চয়ই, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার পূর্বে কি কি বিষয় সম্পর্কে অবগত হওয়া প্রয়োজন সে সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। এবার মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার সেরা ২০টি উপায় জেনে নিন।
আরও পড়ুন: গিয়ার সাইকেল দাম কত বাংলাদেশ ছবিসহ ২০২৪
১) ব্লগিং করা: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার অন্যতম একটি সহজ মাধ্যম হতে পারে ওয়েবসাইট ব্লগিং। প্রথমত আপনাকে একটি (নিস) সিলেক্ট করতে হবে, অর্থাৎ আপনি কোন বিষয়ে ব্লগিং করতে চান সে বিষয়টি নির্ধারণ করতে হবে। অতঃপর ব্লগিং ওয়েবসাইটে SEO নীতিমালা মেনে আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এশিয়া মহাদেশীয় অঞ্চলের জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্ট লিখলে সেখান থেকে ভালো ভিজিটর আসে। মোবাইল দিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং এর জনপ্রিয় কিছু অ্যাপ হলো:
- Microsoft Word Office
- Google Docs
- WPS Office
২) কাস্টমার সাপোর্ট: মোবাইলের মাধ্যমে আপনারা কাস্টমার সাপোর্টের বিভিন্ন কাজ করতে পারেন। যেমন কোন কোম্পানির ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাস্টমারদের সেবা দিতে পারেন অথবা ভয়েস এসএমএস পাঠিয়ে গ্রাহকদের তথ্য পাঠাতে পারেন। এই কাজের মাধ্যমে ভালো এমাউন্টের অর্থ মোবাইল দিয়েই আয় করা সম্ভব। মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় এর মধ্যে এই উপায়টি আপনারা কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন।
৩) ডাটা এন্ট্রি: যারা একদম প্রাথমিক অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাদের জন্য মোবাইল ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো ডাটা এন্ট্রি। আপনারা খুব সহজেই মোবাইলের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে ডলার আয় করতে পারবেন। ডাটা এন্ট্রির জন্য প্রসিদ্ধ দুইটি মার্কেটপ্লেস হলো:
- Fiverr
- Upwork
৫) ইউটিউবিং: আপনার কাছে যদি একটি ভালো ক্যামেরা ওয়ালা ফোন থাকে, তবে আপনি নিজে ভিডিও তৈরি করে তা ইউটিউবে আপলোড করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের কন্টেন্ট ক্রিয়েট করতে হবে। পাশাপাশি ইউটিউবে আপলোড করার জন্য ভিডিও এডিটিং এর কাজও শিখে নিতে হবে।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম
মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় গুলোর মধ্যে থেকে বেশ কিছু উপায় আপনারা ইতোমধ্যে জেনে নিয়েছেন। এবার আরো কিছু মোবাইলে আউটসোর্সিং করার উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
আরও পড়ুন: শীতকালে যেভাবে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে থাকবে
৬) ভিডিও এডিটিং: বর্তমানে মোবাইল দিয়েই প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং এর কাজ করা যায়। সেজন্য বেশ কিছু এপ্লিকেশন রয়েছে। বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা ব্যাপক। নিম্নোক্ত অ্যাপগুলো ব্যবহার করে আপনারা ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে পারবেন।
- CapCut
- InShot
- KineMaster
- YouCut
৭) ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: আপনার যদি কোডিং এ আগ্রহ থাকে তবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট অথবা অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সেজন্য ভালো মানের একটি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স করে মোবাইল দিয়ে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের যাবতীয় কাজ শুরু করে দিতে পারেন। অধিক দক্ষতা অর্জন সাপেক্ষে চাইলে মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করেও অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। Web Development এর জন্য আপনাকে HTML এবং CSS এ পারদর্শী হতে হবে। ওয়েব ডিজাইনের এমন কয়েকটি ওয়েবসাইট হলো:
- Programming Hero
- W3s Schools ইত্যাদি।
৮) ফেসবুক মার্কেটিং: বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া হলো ফেইসবুক। মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করে প্রতি মাসে অন্তত ৫০০ ডলার ইনকাম করা নেহায়েত কঠিন কিছু নয়। মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় গুলোর মধ্যে ফেসবুক মার্কেটিং হতে পারে আপনার প্রথম চয়েস।
৯) ফটোগ্রাফি: আপনি যদি ভালো ছবি তুলতে পারেন অথবা ভালো ছবি এডিট করতে পারেন তবে মোবাইল দিয়ে ফটোগ্রাফি করেও অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। চাইলে ফটোগ্রাফির ওপর একটি কোর্স করে মোবাইল দিয়েই ফটোগ্রাফির যাত্রা শুরু করতে পারেন। ইউটিউব থেকে জনপ্রিয় 10 Minute School এর বেসিক ফটোগ্রাফির কাজ শিখতে পারেন।
১০) ই-মেইল মার্কেটিং: ইমেইলের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাঙ্খিত তথ্য প্রদান করে মার্কেটিং করার মাধ্যমে আপনি কমিশন আদায় করতে পারেন। আর মোবাইলের মাধ্যমে ইমেইল মার্কেটিং করা তুলনামূলক সহজ।
১১) ভ্লগিং: বর্তমান সময়ে মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং এর অন্যতম জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে ভ্লগিং। মানসম্মত কনটেন্টে ব্লগ বানিয়ে ফেসবুকে আপলোড করার মাধ্যমে অনেকে মাসে ১০০০-১৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করছে। চাইলে আপনিও ভ্লগিং করার মাধ্যমে ফেসবুক থেকে আয় ইনকাম শুরু করতে পারেন। আশা করি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার বেশ কিছু পদ্ধতি আপনারা জেনে ফেললেন।
মোবাইলে আউটসোর্সিং করার উপায় সমূহ
মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার সেরা ২০টি উপায়ের মধ্যে আপনারা অলরেডি দশটি উপায় সম্পর্কে জেনে ফেলেছেন। এবার মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার আরো কিছু উপায় আপনাদের সামনে সংক্ষিপ্ত ভাবে উপস্থাপন করলাম।
১২) সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার: Facebook, whatsapp instagram সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে মোবাইলের মাধ্যমে কাজ করতে পারেন।
১৩) গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ: মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, টি-শার্ট ডিজাইন সহ বিভিন্ন ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজ করতে পারবেন। সেজন্য সহায়ক কিছু মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন হলো :
- PixelLab
- PicsArt
- Canva
- Snapseed
- Lightroom
- Adobe Photoshop Touch ইত্যাদি।
১৪) গেম ডেভেলপিং: কোডিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন গেমিং অ্যাপ বানিয়ে তা থেকে হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্টের টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
১৫) 3D মডেলিং: বর্তমানে থ্রিডি মডেলিং এর কাজ বেশ চাহিদা সম্পন্ন ও যুগান্তকারী।
১৬) SEO: এসইওর মধ্যে অনপেইজ এসইও, অফ পেইজ এসইও, এডভান্স এসইও, বিজনেস ওয়েবসাইট এসইও ইত্যাদি কাজ করে মোবাইলের মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব।
১৭) অ্যানিমেশন মেকিং: বর্তমানে বিভিন্ন মোবাইল এনিমেশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে অ্যানিমেশন তৈরি করে তা থেকে ভালো পরিমাণ আয় করে থাকেন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা।
১৮) ডিজিটাল মার্কেটিং: মোবাইলের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করা সম্ভব। মোবাইল ফ্রেন্ডলি বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টর রয়েছে যা আপনাকে অনলাইন থেকে আয় করতে সহায়তা করবে।
১৯) কল সেন্টার: আপনি চাইলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কল সেন্টারে মোবাইলের মাধ্যমে কাজ করতে পারেন। সেজন্য আপনাকে ভালো ভয়েস আর্টিস্ট হতে হবে।
২০) আর্ট বিক্রি: আপনি যদি একজন আর্টিস্ট হন অথবা ভালো ছবি আঁকতে পারেন তবে তা মোবাইলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রিও করতে পারবেন। আশা করি মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় গুলো আপনাদের সামনে সুস্পষ্ট হয়েছে।
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাবেন?
প্রিয় বন্ধুরা এই পোস্ট থেকে আপনারা ইতোমধ্যে মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিয়েছেন। আপনারা চাইলে নিচের স্টেপ ফলো করে ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলোর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- ফ্রিল্যান্সিং মোবাইল অ্যাপ গুলোতে একাউন্ট ক্রিয়েট করার মাধ্যমে সেখান থেকে ভিডিও এডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন সহ বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন।
- মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে বিশ্বস্ত একটি ওয়েবসাইট খুঁজে বের করতে হবে।
- অতঃপর সেই ওয়েবসাইটে আপনার সঠিক ঠিকানা ব্যবহার করে একটি একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে।
- তারপর আপনি যে কাজে পারদর্শী সেই কাজগুলো ভালোভাবে খুঁজে নিয়ে সেই কাজগুলো করার চেষ্টা করতে হবে।
- মনে রাখবেন আপনার ফ্রিল্যান্সিং সাইটের প্রোফাইল এমন ভাবে আপডেট রাখতে হবে যেন বায়ার খুব সহজেই আপনাকে বিশ্বস্ত মনে করে এবং আপনাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পারে। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় জেনে নিতে পোস্টের পূর্বের অংশ পুনরায় পড়ুন।
বাংলাদেশী মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং সাইট
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অনেকেই বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং সাইট অ্যাপসগুলো সম্পর্কে জানতে চান। এখানে আমরা বেশ কিছু বাংলাদেশী মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং সাইটের নামের তালিকা তুলে ধরলাম। আপনারা এ সকল সাইট থেকে মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
- অর্ডিনারি আইটি (ফ্রিল্যান্স পোস্ট রাইটার হিসাবে কাজ করা যায়)
- Grathor
- belancer
আমাদের শেষ বার্তা
প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা নিশ্চয়ই মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার সেরা ২০টি উপায় জেনে নিয়েছেন। এই উপায় গুলোর মধ্যে আপনার পছন্দমত যে কোনোটি সিলেক্ট করে আপনি মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় শামিল হয়ে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের যথেষ্ট উপকারে আসবে বলে প্রত্যাশা করছি। মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় অন্যদের জানাতে এই পোস্টটি শেয়ার করুন এবং আপডেটেড তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক রকমারী পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।
FAQs (মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর)
প্রশ্ন: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবো?
উত্তর: ইন্টারনেট কানেকশনযুক্ত ভালো মানের একটি মোবাইল ফোনে ডাটা এন্ট্রি, ভিডিও এডিটিং সহ বিভিন্ন সহজ কাজগুলো দিয়ে আপনার ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন।
প্রশ্ন: ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ কোনটি?
উত্তর: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সবচেয়ে সহজ কাজটি হলো ডাটা এন্ট্রি। এই কাজটি সহজ হওয়ার কারণে মার্কেটপ্লেসে প্রতিযোগিতাও বেশি। তাই ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে চাইলে একটু কঠিন কাজ শেখাই ভালো।
প্রশ্ন: মোবাইলে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায়?
উত্তর: অবশ্যই মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করা যায়। এজন্য ধৈর্যের সহিত কোন একটি কাজের পেছনে লেগে থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে পরিশ্রমই সফলতার চাবিকাঠি। তাহলে মোবাইল দিয়েও হ্যান্ডসাম এমাউন্ট ইনকাম করা সম্ভব হবে।
প্রশ্ন: নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি?
উত্তর: Fiverr, UpWork, Freelancer, 99Designs, People Per Hour প্রত্যেকটিই নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস। তবে এ সকল সাইটে কাজ করার পূর্বে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন দক্ষতা ভালো?
উত্তর: আমাদের দেশের মানুষ সাধারণত সহজ কাজ করে টাকা ইনকাম করতে চায়। কিন্তু তুলনামূলক কম প্রতিযোগিতা এবং কঠিন কাজ শিখলে সেখান থেকে বেশি পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। সেজন্য ভালো হয়: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কোডিং সেক্টরে দক্ষ হওয়া।
প্রশ্ন: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যায়?
উত্তর: নিজের শতভাগ দক্ষতা কাজে লাগিয়ে মোবাইল দিয়ে যথাযথভাবে কাজ করে ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হওয়ার মাধ্যমে মোবাইল থেকেও মাসে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।
অনির্বাণ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url