অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার নিয়ম ২০২৪

অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে আজ আপনারা এই পোস্টের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা লাভ করতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম বেশ সহজ। অল্প সময়ে ঘরে বসে কিভাবে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করবেন সে বিষয়টি জানার জন্য সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে নিন।
অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার নিয়ম ২০২৪

বর্তমান সময়ে জন্ম নিবন্ধন কতটা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, তা আপনারা সকলেই জানেন। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে যে কোন কাজ করতে গেলে সর্বপ্রথম ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন কপির প্রয়োজন হয়। আগে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা অথবা সিটি কর্পোরেশনে গিয়ে আবেদন করার প্রেক্ষিতে সরকারিভাবে জন্ম নিবন্ধন করা হতো। বর্তমানে ইন্টারনেটের বিস্তৃতির কারণে অনলাইনে খুব সহজে ও অল্প সময়ে আপনি নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে পারবেন। চলুন তাহলে এই পোস্টটি থেকে জেনে নেওয়া যাক অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে। 

পোস্ট সূচিপত্র - নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার নিয়ম - নতুন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন 

জন্ম নিবন্ধন করা কি কারণে গুরুত্বপূর্ণ? 

নবজাতক শিশু পৃথিবীতে আগমনের সাথে সাথেই তার জন্ম নিবন্ধনের জন্য অভিভাবকেরা ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে। কেননা জন্ম নিবন্ধন ছাড়া শিশুর নাগরিকত্ব প্রমাণ করার কোন উপায় নেই। জন্ম নিবন্ধন করলে নবজাতক শিশু হিসেবে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। শিশুকে স্কুলে ভর্তি করানো, শিশুর নামে কোন কিছু ক্রয় করা, টিকা প্রদান করা প্রভৃতি ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন কপির দরকার হয়। তাই শিশুর বয়স ৫ বছর হওয়ার পূর্বেই তার জন্ম নিবন্ধন করে ফেলা ভালো। আশা করি আপনারা বুঝতে পারলেন জন্ম নিবন্ধন কি জন্য একজন ব্যক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার নিয়ম জানতে পুরো পোস্টটি পড়ে ফেলুন। 

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগে 

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম জানার পূর্বে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে কি কি কাগজ লাগে এ বিষয়টি সম্পর্কে সর্বপ্রথম আপনাদের ধারণা থাকতে হবে। ২০২৪ সালে এসে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়। বাধ্যতামূলক এই ডকুমেন্টগুলো জন্ম তারিখ সহ অন্যান্য বিষয়ের প্রমাণপত্র হিসেবে কাজ করে। উক্ত ডকুমেন্টগুলো হলো -

  1. পিতা মাতা সংক্রান্ত তথ্য 
  2. টিকা দেওয়ার কার্ডের তথ্য 
  3. হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করার রশিদের কপি 

শিশুর বয়স ০ থেকে ১.৫ মাস হলে জন্ম নিবন্ধন করতে  যে সকল কাগজপত্র লাগবে :

  • বাচ্চার টিকা কার্ড অথবা হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত ছাড়পত্রের কপি। 
  • হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করার অরজিনাল রশিদ। 
  • অভিভাবকের মোবাইল ফোন নম্বর। 
  • পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডির কপি।
  • পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন কপি। 

আবার বয়স ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর হলে সে ক্ষেত্রে যা যা লাগবে:

  • পিতা মাতার এনআইডি কার্ডের কপি 
  • পিতা মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের কপি (যদি থাকে)
  • কোন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত সত্যায়িত প্রত্যয়ন পত্র 
  • স্বাস্থ্যকর্মীর থেকে গৃহীত সত্যায়িত প্রত্যয়ন পত্রের কপি 
  • অভিভাবকের মুঠো ফোন নম্বর (আবেদনকারীর) 
  • ট্যাক্স পরিশোধ করার রশিদের কপি

৫ বছরের বেশি বয়সী যে কোনো ব্যক্তির জন্য যে সকল কাগজপত্রের প্রয়োজন -

  • জন্ম নিবন্ধন করার উদ্দেশ্যে নির্ভুল তথ্য দ্বারা পূরণ কৃত আবেদন ফরম। 
  • বয়সের প্রমাণ দেবার জন্য বিসিএস ক্যাডার স্বাক্ষরিত সত্যায়িত প্রত্যয়ন পত্র। 
  • শিক্ষা বোর্ডে অংশগ্রহণ করা জেএসসি, এসএসসি অথবা এইচএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেটের কপি। 
  • পিতা মাতার এনআইডি অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের কপি। 
  • স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে হোল্ডিং ট্যাক্সের মূল কপি। 

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম - নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্মদিন আবেদন যেভাবে করবেন 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রণীত ২০০৪ সালের জাতীয় জন্ম নিবন্ধন ও  মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী কোন নবজাতক শিশু জন্ম নেওয়ার ১.৫ মাসের মধ্যে তার জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। বয়স বেশি হয়ে গেলে জন্ম নিবন্ধন করা বেশ ঝামেলার একটি কাজ। আপনারা চাইলে নিকটস্থ সিটি কর্পোরেশন, ইউনিয়ন অথবা পৌরসভায় গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ সাপেক্ষে সরাসরি জন্ম নিবন্ধন করতে পারেন। এছাড়া খুব সহজে অনলাইনে প্রয়োজনে কিছু ডকুমেন্ট সাবমিট করার মাধ্যমে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন।

আরও পড়ুন: মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় ২০২৪

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমানে প্রয়োজনীয় সকল কাজকর্মই অনলাইন নির্ভর হয়ে গেছে। ২০২৪ সালে নতুন জন্ম নিবন্ধন করার জন্য https://bdris.gov.bd/br/application এই লিংকে প্রবেশ করে, যথার্থ তথ্য প্রদানের মাধ্যমে আপনাকে আবেদন করতে হবে। বয়স ভেদে এখানে আলাদা আলাদা ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হয়। উপরিউক্ত লিংক থেকে আপনি জন্ম নিবন্ধন অনলাইন ফরম ডাউনলোড pdf করে তা প্রিন্ট করতে পারেন। তারপর সেই প্রিন্ট করা কপি ইউনিয়নে জমা দিয়েও আবেদন করা যায়। 

অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম  - জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম 

বন্ধুরা অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার নিয়মটি বেশ সহজ। প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্ট সাবমিট করার মাধ্যমে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার প্রক্রিয়াটি দ্রুততর সময় সম্পন্ন করা যায়। পোস্টের এই অংশটি ভালোভাবে পড়ে নিলে আপনিও ঘরে বসে অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করে ফেলতে পারবেন। চলুন তবে ধাপে ধাপে শুরু করা যাক নতুন জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম -

ধাপ ১: জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদনকারী ব্যক্তির পরিচিতি

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে জন্ম নিবন্ধন করার সরকারি ওয়েবসাইটের https://bdris.gov.bd/br/application এই লিংকটিতে প্রবেশ করতে হবে। প্রবেশ করার পরে নিচের ছবির মত পেজ আপনার সামনে শো করবে। সেখান থেকে যেটি সুবিধা জনক মনে হবে অর্থাৎ জন্মস্থান ও স্থায়ী ঠিকানা সিলেক্ট করে দিন। এরপর নিচের 'পরবর্তী' অপশনে ক্লিক করুন।

অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম

ধাপ ২: আবেদনকারী ব্যক্তির পরিচয় ও ঠিকানা 

  • দ্বিতীয় ধাপে যে পেজটি শো করবে সেখানে লাল * চিহ্নিত ঘরগুলো অবশ্যই আপনাকে পূরণ করতে হবে।
  • এরপর নামের প্রথম অংশ ও শেষ অংশের ঘর সাবধানতার সাথে পূরণ করুন। নামের বানান ঠিক আছে কিনা তা ভালোভাবে চেক করে নিন। আপনার নামের প্রথম অংশ যদি না থাকে, তবে শুধুমাত্র শেষ অংশে আপনার সিঙ্গেল নামটি প্রদান করুন। যেমন: রহিম। এক্ষেত্রে নামের প্রথম অংশ দেওয়ার দরকার নেই। 
  • একই উপায়ে ইংরেজিতে আপনার নাম প্রদান করুন। এক্ষেত্রেও ইংরেজি নামের বানানটি ভালোভাবে খেয়াল করুন যে ঠিক আছে কিনা। 
  • এরপর আপনার সঠিক জন্ম তারিখটি লিখে দিন। 
  • আপনি পিতা মাতার কততম সন্তান সেই ঘরটি যথার্থভাবে পূরণ করে, আপনার লিঙ্গ কি তা সিলেক্ট করুন। 
  • এরপর জন্মস্থানের সঠিক ঠিকানা বাংলা ও ইংরেজিতে নির্ভুলভাবে লিখে দিন। 
    জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম

সবগুলো তথ্য সঠিক আছে কিনা তা আরেকবার যাচাই করে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করে দিন। কি বন্ধুরা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন খুব সহজ তাই না? চলুন এবার পরবর্তী ধাপে কি করতে হবে তা জেনে ফেলি। 

ধাপ ৩: পিতা-মাতা তথা অভিভাবকের তথ্য প্রদান 

  • তৃতীয় ধাপে এসে আপনাকে অভিভাবকের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো নির্ভুলভাবে প্রদান করতে হবে। 
  • এরপর পিতার জন্ম নিবন্ধন ১৭ ডিজিটের নম্বর, পিতার পুরো নাম বাংলা এবং ইংরেজিতে, পিতার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের নম্বর এবং জাতীয়তা খুবই সতর্কতার সাথে পূরণ করতে হবে। 
  • পরবর্তীতে একইভাবে (পিতার মতো) মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর, নাম, জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর এবং জাতীয়তা সম্পর্কিত তথ্য দিতে হবে। সবশেষে পুনরায় অপশনে ক্লিক করতে হবে। 
    নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করার নিয়ম

একটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বর্তমানে অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে হলে অবশ্যই পিতা-মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কবে থাকতে হবে। তা না হলে জন্ম নিবন্ধন হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে। চলুন নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কিত পরবর্তী ধাপে চলে যাই।

ধাপ ৪: স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা সম্পর্কিত তথ্য প্রদান 

  • চতুর্থ ধাপে এসে আপনাকে দুটি পর্যায়ে আপনার স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। পূর্বে নিবন্ধিত কোনো ঠিকানা স্থায়ী অথবা বর্তমান ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করতে চান কিনা সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে। সেখান থেকে "কোনটিই নয়" চিহ্নিত বক্সে টিক দিয়ে পরবর্তী অপশন এ ক্লিক করুন। 
    অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন
  • এবার নিম্নোক্ত এই পেজটি শো করবে। এখানে সতর্কতার বিষয় এই যে, আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং জন্মস্থান ভিন্ন হলে অবশ্যই দুটি আলাদা আলাদা ঠিকানা লিখতে হবে। 
    নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রিন্ট

  • এরপর আপনার স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানার স্থলে দেশের নাম, ডাকঘর, গ্রামের নাম ও বাসা নম্বর বাংলা ও ইংরেজিতে সঠিকভাবে পূরণ করে দিন। পূরণ করা হয়ে গেলে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন। 

ধাপ ৫: জন্ম নিবন্ধন আবেদনকারীর প্রত্যয়ন 

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার এ ধাপটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ধাপে আপনার পরিচয় যাচাইয়ের জন্য যাবতীয় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাবমিট করতে হবে। 

  • নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম এর এ পর্যায়ে এসে আপনাকে এই মর্মে স্বীকার করতে হবে যে, আপনার জন্ম নিবন্ধন এর পূর্বে আর কোথাও থেকে করা হয়নি। যদি হয়েও থাকে তবে এর জন্য আপনি কোন ভাবেই দায়ী থাকবেন না। 
  • এবার আপনার বয়স ১৮ হয়ে গেলে 'নিজ' অপশনটি সিলেক্ট করুন। আর ১৮ বছরের নিচে হলে আইনানুগ অভিভাবক অন্যান্য অপশনটি সিলেক্ট করে দিবেন। 
    জন্ম নিবন্ধন বাতিলের আবেদন
  • এরপরে আপনার প্রয়োজনীয় সব ধরনের ডকুমেন্ট সাবমিট করার পালা। আপনার বয়স অনুযায়ী কি কি ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে তা জেনে নিয়ে এখানে সাবমিট করে দিন। ডকুমেন্ট সাবমিট করার ক্ষেত্রে প্রতিটি ফাইলের সাইজ অবশ্যই ১০০ কিলোবাইট এর মধ্যে হতে হবে।
    জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক
  • ভুলে কোন ডকুমেন্ট সাবমিট হয়ে গেলে তা বাতিল অথবা ডিলিটও করতে পারবেন। এরপর পরবর্তী অপশনটিতে ক্লিক করুন। 

ধাপ ৬: জন্ম নিবন্ধনের আবেদন রিভিউ করা 

এতক্ষণ ধাপ ৫ পর্যন্ত প্রদান করা সকল তথ্য এ পর্যায়ে এসে আপনি রিভিউ করতে পারবেন। চূড়ান্তভাবে সাবমিট এর পূর্বে অবশ্যই কোথাও কোনো ভুল ভ্রান্তি রয়ে গেছে কিনা তা যাচাই করে নিন। কোন ভুল থাকলে তা সংশোধন করার পর, আবারো সুন্দর মত যাচাই করুন। মনে রাখবেন যত নির্ভুল তথ্য প্রদান করবেন তত দ্রুত আপনার নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন যাচাই করে আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হবে। অতএব, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চূড়ান্ত সাবমিট করে দিন। আশা করি, অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার নিয়ম ২০২৪ আপনারা বুঝতে পেরেছেন। 

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রিন্ট - জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড

পোস্টের পূর্বে উল্লেখিত প্রক্রিয়ায় নির্ভুলভাবে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার আবেদন করে থাকলে, আইডিসহ আবেদনপত্র প্রিন্ট করে ফেলা একটি অপশন চলে আসবে। সেখান থেকে খুব সহজে আপনি প্রিন্ট লেখা অপশনে ক্লিক করে A4 সাইজের কাগজে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। কাছে যদি প্রিন্টার না থাকে তবে আবেদন পত্রের পিডিএফটি ডাউনলোড করে নিকটস্থ কম্পিউটার সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়াটি কেমন লাগলো তা আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। 

জন্ম নিবন্ধন যাচাই অনলাইন চেক apps - জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক 

বন্ধুরা ইতিমধ্যে আপনারা অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। উক্ত নিয়ম অনুসরণ করে যদি আপনি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করে থাকেন তবে আপনার আবেদনটি বর্তমানে কোন পর্যায়ে রয়েছে তাও সরকারি জন্ম নিবন্ধনের ওয়েবসাইট থেকে চেক করতে পারবেন।

আরও পড়ুনইন্ডিয়ান ভিসা চেক করার নিয়ম - ইন্ডিয়ান ভিসার খরচ, কাগজপত্র

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করার জন্য https://bdris.gov.bd/br/application/status এই লিঙ্কে আপনাকে প্রবেশ করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আপনার আবেদনের বর্তমান অবস্থা দেখে নিতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করার নিয়ম আশা করি বুঝতে পেরেছেন। নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম জানার জন্য পোস্টটি প্রথম থেকে পড়ে নিন।

জন্ম নিবন্ধন বাতিলের আবেদন - জন্ম নিবন্ধন বাতিল করার নিয়ম 

আপনার প্রদানকৃত তথ্যে কোনরকম ভুলভ্রান্তি থেকে থাকলে নিকটস্থ ইউনিয়ন বা সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করে জন্ম নিবন্ধন বাতিল আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে তারা আপনাকে জন্ম নিবন্ধন বাতিল ফরম দিবে, যা যথাযথভাবে পূরণ করে জন্ম নিবন্ধন বাতিল ফি সহ জমা দিতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য ক্ষেত্রবিশেষে ৫০ থেকে ১০০ টাকা খরচ হয়। তবে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফরম ডাউনলোড করে খুব অল্প সময়ে আপনি আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার নিয়ম পুনরায় জানতে পোস্টের আগের অংশ দেখে নিন। 

শেষ মন্তব্যঃ অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম 

এই পোস্টে উল্লেখিত নিয়মে আবেদন করলে মাত্র ১ থেকে ২ দিনের ভেতরেই আপনি জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারবেন। আশা করি এই পোস্টটি পড়ে আপনারা পূর্ণাঙ্গভাবে অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার নিয়ম শিখতে পেরেছেন। আশা করি জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন কিভাবে করে এ সংক্রান্ত সকল প্রশ্ন আপনাদের দূর হয়েছে। পোস্টটি উপকারী মনে হলে অন্যদের মাঝে শেয়ার করে সচেতন করুন, যাতে তারা জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম জানতে পারে। তথ্যপ্রযুক্তি ও ই-সেবা সংক্রান্ত নিত্য নতুন আর্টিকেল পড়তে চাইলে আমাদের সাথে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
এই পোস্টে কমেন্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

অনির্বাণ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url